আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পে অন্তত ১১১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ২২০ জনের মতো আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়ার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ইউএসজিএস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫.৯। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে এ মাত্রা ছিল ৬.২। সিনহুয়া জানিয়েছে, গানসু ও কিংহাই প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হানে। হতাহতের পাশাপাশি সেখানের ভবনগুলো ভেঙে পড়েছে।
দ্য ইউরোপিয়ান মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ছিল ৬ দশমিক ১ মাত্রার। এটির উৎপত্তিস্থল গানসু প্রদেশের রাজধানী লানঝোর থেকে ১০২ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং ভূপৃষ্ঠের ৩৫ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্প আঘাত হানার পর পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। ফুটেজে দেখা গেছে উদ্ধারকারীরা ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। স্থানীয় কর্মীদের সহায়তা করার জন্য চীনা সরকার উদ্ধারকর্মীদের দল পাঠিয়েছে। ঘরের মেঝেতেও ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে, ছাদ আংশিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গানসুতে পূর্ণ উদ্ধারকাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বলেছেন, উদ্ধার, সময়মতো আহতদের চিকিৎসা এবং হতাহতের সংখ্যা কমানোর জন্য সকল প্রচেষ্টা করা উচিত।
রাষ্ট্রীয় মিডিয়া সংস্থা সিনহুয়া মঙ্গলবার সকালে জানিয়েছে, গানসুতে ১০০ জন নিহত এবং ৯৬ জন আহত হয়েছেন এবং কিংহাইতে ১১ জন নিহত এবং ১২৪ জন আহত হয়েছেন।
গত সেপ্টেম্বরে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।
গানসুতে ১৯২০ সালের ভূমিকম্পে ২ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল যা ২০ শতকের সবচেয়ে ভয়ংকর ঘটনার একটি বলে ধরা হয়।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.