ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
নতুন করে সংঘাতে ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী শহর মোরেহ তে বুধবার এক দল দুর্বৃত্তের হামলায় মণিপুর পুলিশের একজন কমান্ডো নিহত হয়েছেন বলে সরকারী কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এনডিটিভি।
মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে মোরেহ শহর ১১০ কিলোমিটার দূরে। ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যে বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই শহরটি।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, মোরেহ শহরের কাছে পুলিশের একটি নিরাপত্তা পোস্ট লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা বোমা ছোড়ে এবং গুলি চালায়।
অস্থায়ী ওই নিরাপত্তা পোস্টটি লক্ষ্য করে দুর্বৃত্তরা আরপিজি গোলাও নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যেগুলোর আঘাতে পোস্টের সামনে পার্ক করে রাখা বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নিহত কমান্ডোর নাম ওয়াংখেম সমরজিৎ বলে জানা গেছে। তিনি ইন্ডিয়া রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ন থেকে রাজ্য পুলিশ কমান্ডো হিসেবে মোরেহ তে সংযুক্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন ইম্ফলের পশ্চিমের জেলা মালোমের বাসিন্দা।
এনডিটিভি জানায়, এক পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার অভিযোগে সম্প্রতি কুকি সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে কুকিরা। সেখান থেকেই নতুন করে আবার পাহাড়ি এই রাজ্যটিতে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে।
মণিপুরের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে কুকি জাতিগোষ্ঠীর বাস। কুকি নেতারা ভারতের কেন্দ্র সরকারকে মোরেহ থেকে রাজ্য পুলিশকে সরিয়ে নিতে বলেছিল। বলেছিল সেখানে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখতে।
তাদের অভিযোগ, পুলিশ কুকি বেসামরিকদের উপর হামলা চালিয়েছে। যে অভিযোগ অস্বীকার করেছে মণিপুর পুলিশ। তারা বলেছে, পাহাড়ে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসীরা রাজ্য পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে।
গত বছর ৩ মে থেকে মণিপুরে কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয়াবহ জাতিগত দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রায় এক মাস ধরে চলা ওই দাঙ্গায় ১৮০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয় হাজার হাজার মানুষ। মেইতেইরা মণিপুরের সমতল অঞ্চলে বসবাস করে।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.