আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাপানের চন্দ্রযান বিশ্বের পঞ্চম দেশ হিসেবে চাঁদে সফল অবতরণ করেছে। শুক্রবার মধ্যরাতে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে চন্দ্রযান ‘মুন স্নাইপার’। চন্দ্রপৃষ্ঠে সূর্যের আলো পড়া শিওলি কার্টার নামের একটি এলাকায় অবতরণ করেছে যানটি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাপানের মহাকাশ সংস্থার মহাকাশযানটি সফলভাবে চাঁদে নেমেছে। তবে মুন স্নাইপারের সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখন ব্যাটারির ওপর নির্ভর করছে যানটি। ফলে এই মিশন হুমকির মুখে পড়তে পারে। ব্যাটারির শক্তি থাকবে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা।
জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি (জাক্সা) জানিয়েছে, চন্দ্রযানটি ল্যান্ড করার পরক্ষণেই জাক্সার প্রকৌশলীরা বুঝতে পারেন যে, কিছু সমস্যা হয়েছে। ব্যাটারি শেষ হওয়ার আগেই সোলার জেনারেটর ঠিক করার চেষ্টা চালাচ্ছে জাক্সা।
শুক্রবার মধ্যরাতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাক্সার গবেষণা বিভাগের প্রধান হিতোশি কুনিনাকা বলেন, ‘এক মাস আগে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে স্লিম। সে সময় সূর্যের অবস্থান যেখানে ছিল— এখন আর সেখানে নেই। ফলে গত বেশ কয়েক দিন ধরেই সৌরশক্তি গ্রহণ করতে পারছে না স্লিমের সোলার প্যানেলগুলো।’
চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের কিছুক্ষণ পর স্লিম থেকে সিগন্যাল আসাও বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ডিপ স্পেস নেটওয়ার্ক। তবে শক্তির অভাবে সিগন্যাল পাঠানো বন্ধ হয়ে গেছে, না কি শক্তি সঞ্চয়ের জন্য নভোযানটি সিগন্যাল পাঠানো বন্ধ রেখেছে— তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তবে চাঁদে অবতরণ পুরোপুরি সফল হয়েছে নভোযানটির। কুনিনাকা জানান, শিওলি কার্টারে এলাকায় ১০০ মিটারের (৩২৮ ফুট) মধ্যে স্লিমকে নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, এবং সেই অনুযায়ীই অবতরণ করেছে স্লিম।
গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর মুন স্নাইপারের সফল উৎক্ষেপণ করে জাপান। ২৫ ডিসেম্বর চাঁদের কক্ষপথে যানটি প্রবেশের কথা জানিয়েছিল জাক্সা। এটি চাঁদে অবতরণে জাপানের দ্বিতীয় চেষ্টা। এর আগের চেষ্টার সময় অবতরণ করতে গিয়ে আরেকটি মহাকাশযান ভেঙে পড়েছিল।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.