ভয়েস প্রতিবেদক, মহেশখালী:
মহেশখালী কুতুবজোম ইউনিয়নে নয়াপাড়া গ্রামে ১৩০ বছরের দীর্ঘ জীবনের স্বাভাবিক পরিসমাপ্তি ঘটেছে মরিয়ম খাতুন নামে এক গ্রাম্য বৃদ্ধার। মরহুম মরিয়ম খাতুন কুতুবজোম নয়াপাড়া গ্রামের মরহুম সিকদার আলীর ছোট বোন। কুতুবজোম দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মরহুম আহমদ উল্লাহ কুতুবীর ছোট ফুফি।
আজ ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইতঃপূর্বে মহেশখালীর কোথাও এত দীর্ঘ বয়সী কোনো মানুষের মৃত্যুর খবর জানা যায়নি।বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, মাটি দূষণ ও খাদ্য দূষণের কারণে কোনো অববাহিকা অঞ্চলেই অশীতিপর বা শতবর্ষী মানুষের যেখানে দেখা পাওয়া যায় না। সেখানে ১৩০ বছর সফল জীবনযাপন শেষে স্বাভাবিক মৃত্যু একটি বিরল ঘটনা। বৃদ্ধার আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মৃত মো: আশরাফ আলীর স্ত্রী মরিয়ম খাতুন মৃত্যুকালে ৭ মেয়ের পৌত্র-পৌত্রী, এবং তাদের আরো বেশ কয়েকজন অধস্তন উত্তরাধিকার বা বংশধর রেখে গেছেন।বৃদ্ধা মরিয়ম খাতুনের বড় মেয়ের বয়স ৮০বছর। এই ৮০বছর বয়সী বড় মেয়ে সহ সব মেয়েই বর্তমানে জীবিত রয়েছেন। বৃদ্ধার স্বামী আশরাম আলী মারা গেছেন ৬০বছর পূর্বে। তিনি ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রী। তিনি গ্রামের একসময় জনপ্রিয় কাঠের জিনিসপত্র তৈরি করতেন। বৃদ্ধা মরিয়ম খাতুনের ব্যক্তিগত জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে জানা গেছে,তিনি বেশ পরহেজগার ছিলেন এবং অত্যন্ত সাধারণ খাবার খেয়ে জীবন ধারণ করতেন।
তিনি মাছ, শাকসবজি এবং বিভিন্ন রকমের খাবার খেতেন। বিভিন্ন শাকসবজিব মিশ্রন জাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করতেন।
আজ শুক্রবার বিকাল ৫টার সময় কুতুবজোম দাখিল মাদ্রাসার মাঠ প্রাঙ্গনে, হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে মরহুমের জানাযার নামাজের মধ্য দিয়ে মরহুম মরিয়ম খাতুনের পৃথিবীর জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.