ভয়েস প্রতিবেদক:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে আবারো ভেসে আসছে গুলির শব্দ। এতে আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নেন সীমান্তের বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন শান্ত থাকলেও বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) মধ্যরাত থেকে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সহিংস ঘটনায় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছে। এতে টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তরপাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জরপাড়া, হ্নীলা মৌলভিপাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে। হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের ওপারের মিয়ানমারের কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা গ্রামগুলোতে যুদ্ধ চলছে।
এদিকে, এ ঘটনায় সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল।
সীমান্তবর্ত ীএলাকার এক বাসিন্দা বলেন, কয়েকদিন ধরে তেমন গুলির শব্দ শোনা যায়নি। তবে, গতকাল রাত ১২টার পর থেকে ভারি অস্ত্রের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে চিংড়ি চাষিরা নিরাপদ স্থানে চলে আসেন। মূলত আরাকান আর্মির হাতে দখল হাওয়া ঘাঁটিগুলো উদ্ধার করতে জান্তা বাহিনী আবারো আক্রমণ করছে। আমরা হেলিকপ্টার ও বিমানও দেখতে পেয়েছি।
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, কয়েকদিন সীমান্তের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও আবার ভারি অস্ত্রের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সীমান্তের কাছাকাছি বাসিন্দাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত নাফ নদে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা টহল বৃদ্ধি করেছেন।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, হ্নীলা সীমান্তে রাতভর গোলাগুলি শোনা যায়। মনে হচ্ছিল গোলাগুলি আমার বাসার পাশেই হচ্ছে। সীমান্তের বাসিন্দারা অনেক আতঙ্কে আছেন।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.