আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বছরব্যাপী যুদ্ধবিরতি থেকে সরে এসে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই শুরুর চার মাস পার করেছে রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মি (এএ)। গত বছর ১৩ নভেম্বর থেকে আরাকান আর্মি যুদ্ধ শুরু করে। গত বুধবার পর্যন্ত চার মাসে আরাকান বিদ্রোহীরা জান্তার অনুগত বাহিনীকে হটিয়ে দিয়ে নয়টি শহরের দখল নিয়েছে।
আরাকান আর্মি বলছে, গত চার মাসের লড়াইয়ে সংগঠন উত্তর রাখাইনের বিস্তীর্ণ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় সংগঠনের যোদ্ধারা বিচরণ করছে। জান্তার অনুগত সেনাদের ঘাঁটি ও সীমান্তচৌকি দখল করে নিয়েছে আরাকান বিদ্রোহীরা।
২০০৯ সালে রাখাইন রাজ্যের আত্মনিয়ন্ত্রণের দাবিতে ইউনাইটেড লিগ অব আরাকান (ইউএলএ) গঠিত হয়। পরবর্তীকালে এর সশস্ত্র শাখা হিসেবে আরাকান আর্মি তৎপরতা শুরু করে। গত বছর জান্তার সঙ্গে সই হওয়া যুদ্ধবিরতি থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে তা’য়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এমএনডিএএ) সঙ্গে মিলে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স গঠন করে আরাকান আর্মি। বর্তমানে এ জোট সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। বর্তমানে তারা ‘অপারেশন ১০২৭’ পরিচালনা করছে।
বর্তমানে আরাকান বিদ্রোহীরা রাখাইন ছাড়াও কাচিন রাজ্য ও সাগাইং অঞ্চলে সক্রিয় থাকা বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর সঙ্গে জোট বেঁধে জান্তার বিরুদ্ধে লড়ছে। কাচিন রাজ্যের বিদ্রোহী সংগঠন এবং অং সান সু চির দলের নেতাদের নিয়ে গঠিত ছায়া সরকারের সশস্ত্র দল পিডিএফের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছে আরাকান বিদ্রোহীরা। শান রাজ্যের পালেতওয়া বন্দর দখল করে সর্বপ্রথম জয়যাত্রা শুরু করে আরাকান বিদ্রোহীরা। রাখাইনের কিয়াকতাউ, ম্রাউক-ইউ, মিনবিয়া, পাউকতাউ, পন্নিগিয়ুন দখল করেছে তারা। এ ছাড়া তাউং পি লেটউই, রামরি শহরও আরাকানদের দখলে।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.