বিনোদন ডেস্ক:
ছোটপর্দার অভিনেত্রী ও কণ্ঠশিল্পী জিনাত শানু স্বাগতা। দীর্ঘ ৭ বছর প্রেম করার পর চিত্রগ্রাহক রাশেদ জামানকে বিয়ে করেন। কিন্তু ছয় বছর সংসার করার পর ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা। এরপর একাই জীবন উপভোগ করেন স্বাগতা। গত বছরের শেষের দিকে ফের বিয়ে করতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানান এই শিল্পী।
নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ২৪ জানুয়ারি রাজধানীর মহাখালীর গাউসুল আজম মসজিদে গিয়ে বিয়ে করেন স্বাগতা। তার বরের নাম ড. হাসান আজাদ। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেছেন। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বিয়েতে দুই পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে হাসান আজাদকে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন স্বাগতা। পরবর্তীতে বিবাহত্তোর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এই অভিনেত্রী।
স্বাগতা দ্বিতীয় বিয়ের পর মানুষের কটু কথা শুনেছেন। কেউ বলেছেন, ‘কেন তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করলেন’, ‘নায়িকাদের বিয়ে বারবার ভাঙে কেন’ ইত্যাদি। সমালোচনাকারীদের এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। স্বাগতার মতে— ‘আমি ভালোবেসে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি। আর আমার বিচ্ছেদ হয়েছে আইন মোতাবেক। মেয়েরা ডিভোর্স দিতে পারে। এটা আমার জীবন, আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি। জীবন কি সব সময় এক রকম চলে?’
দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণ ব্যাখ্যা করে স্বাগতা বলেন, ‘এই সমাজে মেয়ে হয়ে একা থাকা কঠিন। যখন আমি একা থাকলাম, তখন দেখলাম, যার বয়স ১৬, সেও আমার প্রেমিক, আবার যার বয়স ৭০, সেও আমার প্রেমিক। এমন অনেকেই প্রেম করতে চায়। তখন দেখা গেল, আমার কাজের বাইরে প্রেমিক ঠেকানো একটা বাড়তি কাজ হয়ে দাঁড়াল। এটা তো আমি চাই না। কেন আমাকে নিয়ে এসব ভাবার সুযোগ দেব? তখন মনে হলো, আমার অভিভাবক লাগবে। এই জন্য আমি আবার প্রেমে পড়ি। পরে দ্বিতীয় বিয়ে করেছি।’
তারকারা কেন একাধিক বিয়ে করেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাগতা বলেন, ‘আমি আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র সেলিব্রিটি। আমার স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে সবার পরে আমার ডিভোর্স হয়েছে। আমার ক্লাসের ৮০ ভাগ মেয়ের ডিভোর্স হয়েছে। তারা তো সেলিব্রিটি না। শুধু আমাদের সঙ্গে ঘটলেই আপনারা উল্টাপাল্টা মন্তব্য করেন।’
‘আপনাদের মন্তব্যের কারণে আমি সেলিব্রিটি হয়েও সাত বছর মার খেয়েছি, মা-বাবাকে নিয়ে যা ইচ্ছা তা–ই শুনেছি। তারপরও আমি সম্পর্ক থেকে বের হতে চাইনি। কারণ, আপনারা গালিগালাজ করবেন। কষ্ট করেও আমি সংসার করতে চেয়েছি।’ বলেন স্বাগতা।
বিভিন্ন সময় মেয়েরা মেয়েদের রোষানলে পড়েন। দেখা যায়, বিবাহবিচ্ছেদ বা পরবর্তী প্রেম নিয়ে মেয়েরাই আগে প্রশ্ন তোলেন। এ ধরনের অভিজ্ঞতাও হয়েছে স্বাগতার। তার ভাষায়, মেয়েরাই মেয়েদের কম বুঝতে পারে। এটা ইভটিজিং। এই ইভটিজিং মেয়েরা মেয়েদের করে।’
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.