খেলাধুলা ডেস্ক:
কোচের প্রথম একাদশে ছিলেন না। নামানো হয়নি ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটেও। অতিরিক্ত সময়ে যখন গড়াল খেলা, তখন হুলিয়ান আলভারেসের জায়গায় নামানো হয় লাউতারো মার্তিনেজকে। শেষ পর্যন্ত তিনিই গড়ে দিলেন ম্যাচের ভাগ্য। ১১২ মিনিটে গোল করে আর্জেন্টিনাকে এনে দেন কোপা আমেরিকার টানা দ্বিতীয় শিরোপা। তার একমাত্র গোলে সবচেয়ে বেশি ১৬ বার কোপা জয়ের রেকর্ড গড়ল আলবিসেলেস্তেরা।
অথচ ৬৯ মিনিটে যখন টিভি পর্দায় দেখা গেল মেসির কান্নার দৃশ্য, তখনও দলটির সমর্থকরা ছিলেন ধোঁয়াশায়। প্রথমার্ধের চোট যেন লিওনেল মেসির জন্য কাল হয়ে এসেছিল। ৬৬ মিনিটে তাই তাকে নেমে যেতে হয় মাঠ থেকে। বেরিয়ে যাওয়ার সময় তিনি আবেগপ্রবণ হয়েগিয়েছেন। চোখ দিয়ে বেরিয়ে আসে পানি। চোখ ঢেকেও আড়াল করতে পারেননি তা। বেঞ্চে বসে গিয়ে কাঁদছিলেন অঝোরে। যেন তিনি নেমে গেছেন বলে আর্জেন্টিনার হার ঘনিয়ে এসেছে।
তবে তাকে ছাড়াও যে আর্জেন্টিনা জিততে পারে, সেটা তো আগেই দেখা গেছে। কিন্তু এটা যে ফাইনাল ম্যাচ। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। তাই নিজের আবেগ তাই সংযত রাখতে পারেননি মেসি। তিনি উঠে যাওয়ার পর আর্জেন্টাইনদের ছন্নছাড়া ফুটবল সেটা অবশ্য প্রমাণ করে দিচ্ছিল। একের পর এক আক্রমণে তাদেরকে বিধ্বস্ত করে তুলেছিল কলম্বিয়া। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরাও একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করছিলেন। তাতে হতাশা বাড়ছিল সমর্থকদের।
৮২ মিনিট দেরিতে শুরু ফাইনাল, একাদশে ডি মারিয়া৮২ মিনিট দেরিতে শুরু ফাইনাল, একাদশে ডি মারিয়া
নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকার পর অতিরিক্ত সময়ের প্রথম ১৫ মিনিট পেয়েও কোনো দল কাজে লাগাতে পারেনি। কিন্তু ৭ মিনিট পরই কাঙ্খিত সেই গোল আসে লাউতারো মার্তিনেজের দুর্দান্ত এক শটে। ১১২ মিনিটে লো সেলসো মাঝমাঠ থেকে পাস দিয়েছিলেন লাউতারোকে। তিনি বক্সে ঢুকে ডান পায়ের নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান।
গোল দিয়ে দিলেন এক ভোঁ দৌড়। তাতে গ্যালারিতে নেমে আসে খানিকটা নীরবতা। উচ্ছ্বাসের চিৎকার ছিল কমই। কারণ মাঠে কলম্বিয়ার দর্শকরাই ছিলেন বেশি। শুধু তাই নয়, এমন গোলের পর ধারাভাষ্যকারও যেন চুপ হয়ে গিয়েছিলেন। খানিকটা বিরতি নিয়েই কথা বলতে শুরু করেছিলেন। তারপর আবার দুই দলের ফুটবলারদের মধ্যে বাক বিতন্ডা। পেনাল্টির আবেদন করেছিলেন কলম্বিয়ান ফুটবলাররা। কিন্তু রেফারি তাতে সায় দেননি।
ফলে লাউতারোর গোলেই মীমাংসা হয় ম্যাচের। আরও একবার কোপা আমেরিকা জিতে আর্জেন্টিনা। মেসির যত শিরোপা জয় আছে জাতীয় দলের হয়ে, সবকিছুতেই গোল ছিল আনহেল ডি মারিয়ার। নিজের বিদায়ী ম্যাচে অবশ্য তিনি পেলেন না গোলের দেখা। তার জায়গাটা যেন নিয়ে নিলেন ইন্টার মিলানের তারকা লাউতারো।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.