ভয়েস প্রতিবেদক:
সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে মোটা চাল, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির। একই সঙ্গে কোনো কোনো সবজির দামও কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার কাঁচাবাজার ও মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
সেগুনবাগিচার কাঁচাবাজারের চাল ব্যবসায়ী মো. আরমান হোসেন বলেন, বন্যা শুরু হওয়ার পর পাইজাম চালে ৩ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকা ও ব্রি ২৮ চাল ৫ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট ও নাজিরশাইল ২ টাকা বেড়ে ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া মিলগেট থেকে বস্তায় লেখা অপেক্ষা ৩০০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। মিলগেট থেকে খুচরা মূল্যও লিখে দেওয়ার কথা কিন্তু তা দেওয়া হচ্ছে না। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের বেশি দামে চাল কিনতে হয়।
মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের বিক্রেতা মো. আমিনুর রহমান বলেন, পাইজাম ও ব্রি ২৮ আগে ৫৬-৬০ টাকা ছিল, এখন ৬২-৬৪ টাকা, মিনিকেট মানভেদে আগে ছিল ৭০-৭৫, এখন ৭৫-৮০ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭৫-৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
মিলগেট থেকে পাইকারি বাজার পর্যন্ত প্রতি বস্তা চালে ২৫০-৩০০ টাকা বেশি দাম রাখা হচ্ছে কেন জানতে চাইলে নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, নওগাঁ থেকে ঢাকা পর্যন্ত এক বস্তা চাল পরিবহনে ব্যয় হয় ৫০-৬০ টাকা। সে হিসাবে বেশি নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে নওগাঁয় ব্রি ২৮ ও পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৭ টাকা, নাজিরশাইল (এক সিদ্ধ) ও মিনিকেট ৬২-৬৪ টাকা, কাটারিভোগ ৬৪-৬৮ টাকা কেজি।
রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। কোনো কোনো সবজির দাম ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গত সপ্তাহে পটোলের কেজি ছিল ৪০-৫০ টাকা, গতকাল বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০, ঢেঁড়স ৪০ থেকে বেড়ে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ থেকে বেড়ে ৫৫-৬০, কাকরোল ১০ টাকা বেড়ে ৮০, ঝিঙা ৬০ থেকে বেড়ে ৭০, করলা ৮০-৯০, গোল বেগুন ১০০, লম্বা বেগুন ৮০, ধুন্দল ৬০, বরবটি ৭০, পেঁপে ৩০, আলু ৬০, কচুরমুখি ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া পেঁয়াজ ১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২২০ টাকা, দেশি রসুন ২৩০ ও আদা ২৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস লাউ ৬০-৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৫০ টাকা কেজি।
ফার্মের মুরগির লাল ডিম ১৫৫-১৬০ টাকা ও সাদা ১৫০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি বাজারভেদে ১০ টাকা ও সোনালি ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বর্তমানে বাজারভেদে প্রতি কেজি ১৮০-১৯৫ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৬০-২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মসুরের ডালের দাম কিছুটা বেড়েছে। ১০ টাকা বেড়ে ছোটদানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি, বড় দানার মসুর ডাল ৫-১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা। মুগ ডাল ১৮০ ও খেসারি ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে মাছের দাম বাড়েনি। গতকাল এক কেজি ওজনের রুই মাছ বিক্রি হয়েছে ৩৫০-৩৭০ টাকায়, পাঙাশ ২০০ ও তেলাপিয়া ২২০ টাকায়। মলা ৩০০ ও কৈ মাছ ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2024 Coxsbazar Voice. All rights reserved.