এম এ সাত্তার:
সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও ইলিশের প্রজননকাল সুরক্ষিত রাখতে আজ মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য সাগরে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ হচ্ছে। যেভাবে মাছ পাওয়ার আশা ছিল তেমন মাছ না পাওয়ায় ঋণের ভয়ে জেলে পল্লীতে দিশেহারা সাধারণ জেলে।
এই সময়ে মাছ ধরা, পরিবহন ও বিক্রি নিষিদ্ধ থাকবে। ফলে ঘাটে ফিরতে শুরু করেছে ট্রলারগুলো। ইতিমধ্যে কক্সবাজারের অধিকাংশ ট্রলারই ঘাটে ফিরেছে। বাকি ট্রলারগুলো আজ বিকেলের মধ্যে ফিরবে বলে জানিয়েছেন ট্রলার মালিকরা।
এদিকে, সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে একসঙ্গে অসংখ্য ট্রলার ঘাটে ফিরে আসায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার শহরে ইলিশ আসার পরিমাণ আগের তুলনায় তিন-চার গুণ বেড়েছে। শুক্রবার কক্সবাজার থেকে প্রায় ২৮ মেট্রিক টন ইলিশ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান কক্সবাজার শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ফিশারিঘাটস্থ মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবারও প্রায় ২১ মেট্রিক টন ইলিশ ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অথচ গত বুধবার পর্যন্ত পুরো পক্ষকাল জুড়ে দৈনিক ৭ মেট্রিক টনের বেশি ইলিশ আসেনি। গত দুই দিন ইলিশ ছাড়াও সাগর থেকে ১০ থেকে ১৫ টন করে অন্যান্য জাতের মাছ এসেছে।
এই মৎস্য ব্যবসায়ী বলেন, সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার কারণে শনিবারের পর থেকে ২২ দিনের জন্য শূন্য থাকবে শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। আর বেকার হতে বসেছে প্রায় ১ লাখ মৎস্যজীবী। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বরফ কলগুলোও।
কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ জানান, কক্সবাজারে ছোট বড় প্রায় ৮ হাজার ইঞ্জিনের নৌ-যান আছে।
মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, মাছের প্রজননকাল সুরক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে সামুদ্রিক মাছের সংখ্যা বাড়ানো যায় এবং ভবিষ্যতে মৎস্যসম্পদ টেকসই থাকে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান জানান, শনিবার (১২ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সাগর ও মোহনায় মাছ ধরা, পরিবহন ও মজুদের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হচ্ছে। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হবে।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.