এম এ সাত্তার:
সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের একটি জনগুরুত্বপূর্ণ পাকা রাস্তা কেটে মৎস্য ঘেরে পানি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ জমি বর্গাচাষি আবুবক্করের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১২ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সরেজমিনে পরিদর্শন করে এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন পিএমখালী ইউপির সাবেক মেম্বার হাজি ইমাম শরিফ। তিনি প্রশাসনের নিকট এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।
পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে পিএমখালী রাবার ড্যাম টু আলির জাহাল বাজার সড়কটির প্রাথমিক সংস্কার কাজ শুরু করা হয়। দুই বছর পর সড়কটি পিচ ঢালাই করে দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। সড়কের দৈর্ঘ্য ৩৩ শত মিটার।
জানা গেছে, পিএমখালী ইউনিয়নের রাবার ড্যাম সেতুর উত্তরে ছনখোলা বড়বিলের মাদার গাছ তলা নামক স্থানে রাস্তা কাটার বিষয়ে প্রতিবেদককে অবহিত করেন স্থানীয় কয়েকজন সিএনজি গাড়ি চালক। তারা জানান, আবু বক্করের মৎস্য খামারের পশ্চিম পাশ দিয়ে রাবার ড্যাম সেতু পাড় হয়ে চট্টগ্রাম- কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কের সঙ্গে যুক্ত এই পিচঢালা সড়কটি। ৮/১০ জন শ্রমিক দিয়ে রাস্তাটি কেটে সুরঙ্গ তৈরি করে স্থায়ীভাবে মোটা পাইপ ঢুকিয়ে দিয়েছেন আবুবক্কর। এই রাস্তার ভিতর দিয়ে সুরঙ্গ করতে গিয়ে রাস্তার একাংশ ধসে (দেবে) গেছে। যে কারণে অচিরেই সড়কটির ওই স্থান থেকে ভেঙে পথচারী ও সকল ধরণের যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে বলে দাবি তাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাকা রাস্তার মাত্র এক ফুটের মতো জায়গা রেখে সড়কের নিছে সাত-আট ফুট গর্ত করে কেটে ফেলা হয়েছে। সড়কের ভিতরে সুরঙ্গ তৈরি করতে কাজ করছে ৮-১০ জন শ্রমিক। অভিযুক্ত আবু বক্করকে শ্রমিকদের সাথে করতে দেখা গেছে। রাস্তার ঝুঁকিপূর্ণ অংশে গাছের ঢাল রাখা হয়। গাড়ি চলছে রাস্তার এক পাশ দিয়ে।
রাস্তা কাটার কথা স্বীকার করে আবু বক্কর জানান, মৎস্য চাষের সুবিধার্থে সুরঙ্গ দিয়ে বাঁকখালী নদী থেকে পানি ঢুকানোর জন্য স্থায়ীভাবে পাইপ বসিয়েছে। জনস্বার্থে রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত কাটা অংশটুকু পূর্বের ন্যায় ঠিক করে দিবেন। মাটি বালি ভর্তি ভারীগাড়ি চলার কারণে রাস্তা দেবে গেছে। রাস্তার একপাশের ঝুঁকিপূর্ণ অংশে মাটি দিয়ে ঠিক করে দিয়েছি। পরবর্তীতে যেকোনো সময় সমস্যা দেখা মাত্রই সংস্কার করবেন।
কক্সবাজার সদর উপজেলা এলজিইডি অফিসের সার্ভেয়ার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে কেউ ইচ্ছা করলেই সরকারি রাস্তা কেটে পাইপ বসাতে পারে না। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.