ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ১৬ বছর কারাভোগের পর কাশিমপুর কারাগার থেকে একে একে মুক্তি পাচ্ছেন বিস্ফোরক মামলায় জামিন পাওয়া বিডিআর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টার পর তারা কারাগার থেকে একে একে বের হতে থাকেন।
জানা যায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মোট ১৬৮ জনকে মুক্তি দেয়া হয়। এর মধ্যে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছেন তৎকালীন বিডিআরের ১২৭ জন জওয়ান। ইতোমধ্যে ১৬ জন মুক্তিলাভ করে কারাগার ছেড়েছেন। মুক্তির খবরে স্বজনরা কারাফটকে ভিড় জমিয়েছেন।
কারগার সূত্রে জানা যায়, মুক্তি পাওয়া মোট ১৬৮ জন বিডিআর বন্দীর মধ্যে রয়েছেন- কাশিমপুর-১ থেকে ২৬ জন, কাশিমপুর-২ থেকে ৮৯ জন এবং কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি থেকে ১২ জন। এছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মোট ৪১ জন বিডিআর বন্দীর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগারে বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিডিআর বিদ্রোহ মামলার ১৭৮ আসামির জামিননামা পাঠানো হয়। সেসব জামিননামা যাচাই-বাছাই শেষে অন্য কোন মামলায় আটকাদেশ না থাকার শর্তে বন্দীদেরকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার (২০ জানুয়ারি) পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় জামিন পেয়েছেন হত্যা মামলায় খালাসপ্রাপ্ত ও যাদের বিরুদ্ধে কোন আপিল হয়নি- এমন দুই শতাধিক আসামি। কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার অস্থায়ী আদালত তাদের এই জামিন দেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। যেখানে ১৫২ জনের ফাঁসি ছাড়াও ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া খালাস পান ২৭৮ জন।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.