ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করে হাই কোর্টের দেয়া রায় আপিল বিভাগ স্থগিত করায় উচ্ছ্বসিত প্রার্থীরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে যোগদান করতে নিজ নিজ জেলায় ফিরে যাচ্ছেন। সোমবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল করেন তারা।
ওই ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করে হাই কোর্টের দেয়া রায় আজ সোমবার দুপুরে স্থগিত করে আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে প্রার্থীদের এক মাসের মধ্যে যোগদান করাতে বলা হয়।
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার প্রার্থী তালুকদার পিয়াস রায় ঘোষণার পর গণমাধ্যমকে বলেন, রায়ে আমরা খুব খুশি। আমাদের নিয়োগ দেয়ার দাবি যে ন্যায়সঙ্গত ছিল তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। আর আন্দোলন নয়। আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। কিছুক্ষণের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেব।
চাঁদপুরের প্রার্থী দীপঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, আজকের রায় আমাদের পক্ষে এসেছে। আমাদের করা আপিল বহাল রাখা হয়েছে। এখন আমরা নিয়োগের তারিখের জন্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। আমাদের সব কষ্ট ও সংগ্রাম সার্থক হয়েছে।
নিয়োগের দাবিতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকায় টানা ২২ দিন আন্দোলন করেন প্রার্থীরা। গতকাল তারা পদযাত্রাসহ নতুন করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রার্থীদের নিয়ে তৃতীয় ধাপের প্রক্রিয়া হাইকোর্টের আদেশে আটকে গিয়েছিল।
পুরোনো কোটা ব্যবস্থার ভিত্তিতে ৬,৫৩১ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৩১ জন প্রার্থীর করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট ওই ফলাফল বাতিল করে দেন। এরপর আন্দোলন শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা।
আজ আপিল বিভাগ হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত করে আপিল করার অনুমতি দেন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগে সরকারের সামনে আর কোনো আইনি বাধা থাকল না।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.