হৃদয় তালুকদার :
আট, দশ বছর বয়স থেকেই মুসলিম পরিবারের অনেক শিশু রোজা রাখতে শুরু করে। বাবা, মায়েরা অনেক সময় চিন্তায় পড়ে যান, এই বয়সে শিশুর জন্য রোজা রাখা ঠিক হবে কিনা। ইসলামী চিন্তাবিদের পরামর্শ, শিশুদের রোজায় অভ্যস্ত করার প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করতে হবে। যাতে তারা কোনোরকম চাপ অনুভব না করে। পুষ্টিবিদরাও একই পরামর্শ দিচ্ছেন।
পুষ্টিবিদ সামিনা জামান কাজরী একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘অনেক মা চিন্তা করেন যে, আমার শিশুটি বা ছেলেটি বা মেয়েটি সারাদিন না খেয়ে থাকবে। ওর সারাদিনের পুষ্টি বা চাহিদা সেটা কি মিটবে। কিন্তু আসলে যদি আমাদের ধর্মীয় দিক থেকে চিন্তা করতে হয় তাহলে কখন রোজাটা শুরু করতে হবে। বলা হয়েছে, ‘সাবালক হলে রোজা ফরজ’। সাবালক হওয়ার আগে থেকেই শিশুকে আস্তে আস্তে রোজা রাখায় অভ্যস্ত করে তোলা যেতে পারে।’’
সামিনা জামান কাজরীর পরামর্শ, শিশুকে ইফতার থেকে সেহেরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও পানীয় জাতীয় খাবার দিতে হবে। শিশুরা যেসব খাবার পছন্দ করে, যেমন তরমুজের রস অথবা বাঙ্গির রস। মালটার জুস অনেক শিশুই পছন্দ করে।এ পানীয় ইমিউনিটি তৈরি করবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। একইভাবে আপনি তাকে একটি স্যান্ডউইচও দিতে পারেন। যেটাতে চিজ এবং চিকেন দুটোই আছে। চিজ কিন্তু অল্প পরিমাণে খেলেও শিশুদের একটা ‘হেভি ফিলিংস’ দেয়। একইভাবে শিশুর রাতের খাবারে কার্ব জাতীয় খাবার থাকতে হবে। ডিম, মাছ, মাংস অবশ্যই যেন থাকে। এবং সেহরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকতে হবে।
শিশুকে ইফতারে, রাতের খাবারে এবং সেহেরি এমন খাবার দিতে হবে যাতে ডিহাইড্রেশনের কোন সম্ভাবনা না থাকে। পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, পানীয়, ফল ও সবজি শিশুকে খাওয়াতে হবে। এই ধরণের খাবার রোজাদার শিশুর খাদ্য তালিকায় থাকলে তার ক্যালরির কোনো ঘাটতি হবে না।
শিশুদের রোজায় অভ্যস্ত করতে আমাদের করণীয়
১.প্রথম দিকে দিনের কিছু অংশে রোজা পালন করানো, আস্তে আস্তে সময়কে বাড়ানো। যে পন্থাটি অবলম্বন করতেন আমার মমতাময়ী মা আমাদের ভাই-বোনদের ব্যাপারে।
২. শিশুদের কাছে রোজার ফজিলত সম্পর্কিত হাদিস গুলি গল্প আকারে শোনানো। রোজাদারের জান্নাতে প্রবেশের দরজা রাইয়ান সম্পর্কে আলোচনা করা ।
৩.শিশুরা রোজা রাখলে প্রতিদিন তাদেরকে কিছু কিছু পুরস্কার দেওয়া । এতে রোজা রাখার প্রতি তাদের উৎসাহ পাবে।
৪. আত্মীয়স্বজনের মধ্যে যে সকল শিশুরা রোজা রাখে তাদের গল্প নিজের শিশুকে শোনানো। সুযোগ হলে ওই সকল শিশুদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করানো। এতে তাদের সিয়াম পালন অব্যাহত থাকবে।
অনেক অভিভাবক রয়েছেন বাচ্চার শরীর নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে তাদের সাওম থেকে দূরে রাখেন। যা নিতান্ত বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। মাঝে মাঝে উপবাস মানুষের শরীরের জন্য অনেক উপকারী যা আজকের চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.