ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
টেকনাফে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের নিহত হওয়ার ঘটনায় জামিনে মুক্ত তার সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ তাদের কক্সবাজার যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।
স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী শিপ্রা রানী দেবনাথ বুধবার 'জাস্ট গো' ফেইসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় এসে তাদের কক্সবাজার যাওয়ার কারণ উল্লেখ করেন।
রোববার কক্সবাজার থেকে জামিন পেয়ে সোমবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন শিপ্রা।
তিনি ফেইসবুক ভিডিওতে জানান, ৩ জুলাই তারা 'জাস্ট গো' নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের কাজ করার জন্য সিফাতসহ তারা তিনজন কক্সবাজার যান। তারা সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে কাজ করছিলেন। যার পরিচালক ছিলেন শিপ্রা। তিনি এর স্ক্রিপ্ট এর কাজও করছিলেন। সিনহা ছিলেন এ উদ্যোগের উদ্যোক্তা। কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বাড়তি কাউকে না নিয়ে প্রেজেন্টারের কাজও শিপ্রা করছিলেন বলে জানান।
শিপ্রা আরো জানান, ওই কাজের ভিডিও করছিলেন সিফাত। এ ছাড়া আরেকজন ব্যক্তি এডিটর হিসেবে কাজে যুক্ত ছিলেন। সিফাত সিনহা নিহতের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় জেলে থাকার পর সোমবার জামিনে মুক্ত হন।
'সেভ আওয়ার ড্রিম শিরোনামে' ভিডিওতে শিপ্রা বলেন, তাদের ভিডিও করার সবরকম লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে আসছিলেন সিনহা।
শিপ্রা আরো জানান, তারা মার্চ মাসে এ ভিডিও করার পরিকল্পনা করেন। তারা প্রথমে যান নওগাঁওর আলতা দীঘিতে। সেখানে শুটিংয়ের কিছু ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, বিভিন্ন জায়গায় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন সিনহা।
ফেইসবুকে জাস্ট গো এর করা একটি প্রোমো ভিডিও ফেইসবুকে ভাইরাল হয়। যা আলতা দীঘিতে ধারণ করা ছিল বলে শিপ্রা জানান। তবে ভিডিওটি কীভাবে ফেইসবুকে আসল তা তিনি জানেন না বলে উল্লেখ করেন।
আলতা দীঘিতে কাজ করার পর পাহাড় এবং সমুদ্রে গিয়ে শুট করার পরিকল্পনা নেন তারা। যার প্রেক্ষিতে তাদের দল কক্সবাজার যায় বলে শিপ্রা জানান।
শিপ্রা অভিযোগ করে বলেন, জাস্ট গো নামে ইউটিউবে বেশ কয়েকটি চ্যানেল খোলা হয়েছে যা তাদের পরিকল্পনাকে ভেস্তে দিতে পারে।
তিনি জানান, তাদের লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের অ্যাডভেঞ্চারকে তুলে ধরা। তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করে জাস্ট গো এর কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্য ব্যক্ত করেন।
৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান।
এ ঘটনায় টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও দায়িত্বরত পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয়জনকে আসামি করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সিনহার বোন। মামলাটি কক্সবাজার র্যাব-১৫ তদন্ত করছেন। সূত্র:দেশরূপান্তর।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.