ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
গাজা এখন আর সেই আগের শহর নেই। দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসনে এটি এখন অপরিচিত শহর। আতঙ্কের শহর বললেও ভুল হবে না। ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর ব্যাপক হামলায় শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তবে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে গাজা এবং ইসরায়েলের অনেক শহরের মধ্যে এখন আর পার্থক্য খুঁজে পাওয়া যায় না। গাজার মতোই এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সাজানো গোছানো তেল আবিব, বন্দর নগরী হাইফা আর রামাতগান। ইরানের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় দিনে দিনে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহর গাজার মতো রূপ নিচ্ছে। গাজার পরিস্থিতি দেখার জন্য ইসরায়েলিদের এখন আর গাজায় যেতে হচ্ছে না। নিজেদের শহরেই গাজার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছে ইসরায়েলিরা।
গত রাতেও ইসরায়েলের দিকে নতুন করে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ কথা জানিয়েছে।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে, সেটা শনাক্ত করা হয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এসব হামলা প্রতিহত করতে কাজ করছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনী জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে ও নতুন নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করতে বলেছে।
গতকাল ছিল ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সপ্তম দিন। বুধবার রাতভর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে গেছে ইরান। অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩-এর আওতায় ১৪তম দফার হামলা ছিল এটি। এবারের হামলায় সেজিল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরান। হামলায় ৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ইসরায়েল তেহরান ও এর আশপাশের এলাকায় বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। এমন পরিস্থিতিতেও গাজায় আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে দখলদার দেশটি। তাদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৬৯ জন ফিলিস্তিনি।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার রাতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে ইরান। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে প্রায় আট বা ৯টি ইসরায়েলিরা আটকে দিয়েছে। তবে এই সংঘাতের শুরুতে ইরান থেকে ইসরায়েলে যে পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে, তার তুলনায় এখন অনেক কম ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের ধারণা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে ইরান তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ ধীরে ধীরে ব্যবহার করছে।
এদিকে ইরানের হামলার শঙ্কায় মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ঘাঁটি থেকে কিছু বিমান ও যুদ্ধজাহাজ সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার দুই মার্কিন কর্মকর্তা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইরানের ওপর ইসরায়েলের হামলাকে জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। একই সঙ্গে, পরিস্থিতি প্রশমনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলেও মত দেন দুই নেতা। বৃহস্পতিবার পুতিন ও শির মধ্যে অনুষ্ঠিত ফোনালাপে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা হয় বলে নিশ্চিত করেছে ক্রেমলিন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ইরানে সামরিক হামলার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন, তবে চূড়ান্ত নির্দেশ এখনও দেননি বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ থেকে সরে আসার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
হাসপাতলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য ইরানকে ‘চড়া মূল্য’ দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। দক্ষিণ ইসরায়েলের সোরোকা হাসপাতালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এই হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলের সোরোকা হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তেল আবিবে প্রাণহানি অর্ধশতাধিক
ইরানের সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধবাজ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩-এর আওতায় ১৪তম দফার হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় এক গুচ্ছ কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ও আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের হামলায় যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ নতুন ধরনের বলে দাবি করেছে ইরানের গণমাধ্যম।
ইরানি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ইসরায়েলের কয়েক স্তর-বিশিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের বেশিরভাগই রাজধানী তেল আবিবের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হেনেছে।
ইসরায়েলে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার দৃশ্য সম্প্রচার করার ব্যাপারে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবারের হামলাগুলোর ছবি ও ভিডিও ব্যাপকভাবে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
এসব ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আতঙ্কিত ইসরায়েলি প্রাণভয়ে দিগ্বিদিক ছুটে পালাচ্ছে। কেউ ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছে। কেউবা আতঙ্কে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে না গিয়ে উল্টোদিকে দৌড় দিচ্ছে। এ সময় ইসরায়েলিদের আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে ভয়ংকর শব্দের সাইরেন।
ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যমের কোনো কোনো প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের আকাশে অন্তত ৫০টি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র দেখা গেছে। যেগুলোর মধ্যে এই প্রথমবারের মতো একাধিক প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
ইসরায়েলি হতাহতের খবর প্রচার করার ওপর বিধিনিষেধ থাকলেও কোনো কোনো ইসরায়েলি সূত্র কেবল বৃহস্পতিবারের হামলায় ৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে।
প্রস্তুত তুরস্ক
ইসরায়েল-ইরান চলমান সংঘাতের জেরে সম্ভাব্য যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরস্ক। দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদারের পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রয়টার্সের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে আলজাজিরা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, তুরস্ক নিজস্ব উৎপাদিত রাডার ও অস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহার করে সমন্বিত আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এর প্রধান লক্ষ্য হলো সম্ভাব্য যুদ্ধ প্রস্তুতিকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্রটি রয়টার্সকে জানায়, ইসরায়েল যখন ইরানে হামলা শুরু করে, তখন তুরস্কের কুইক রি-অ্যাকশন অ্যালার্ট বিমানগুলোও উড্ডয়ন করে। ইসরায়েলি আকাশসীমা লঙ্ঘনের সম্ভাবনার মধ্যেও এই বিমানগুলো সীমান্ত বরাবর টহল অব্যাহত রাখে।
দৃঢ় থাকার আহ্বান আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির
ইসরায়েলের আগ্রাসনে ভয় না পেয়ে দৃঢ় থাকতে নিজ দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
বিবিসির খবরে বলা হয়, এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে এই আহ্বান জানান খামেনি। তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেছেন, ‘শত্রু যদি বুঝতে পারে আপনি তাদের ভয় পাচ্ছেন, তাহলে তারা আপনাকে ছাড়বে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা এখন পর্যন্ত যেভাবে আচরণ করেছেন, তা অব্যাহত রাখুন; সেই আচরণই আরও দৃঢ়তার সঙ্গে চালিয়ে যান।’
দেশবাসীর প্রতি ইরানের প্রেসিডেন্টের বার্তা
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় বলেছেন, ‘কঠিন দিনগুলো আমরা কাটিয়ে উঠব’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জাতির উদ্দেশে দেওয়া বার্তায় তিনি সরকারের প্রতিটি অংশকে ‘ইরানের জন্য কাজ করার’ নির্দেশ দিয়েছেন।
মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, ‘সব মন্ত্রণালয় এবং সরকারি সব এজেন্সিকে তাদের সর্বোচ্চ শক্তি ও সম্পদ ব্যবহার করে ইরানের জন্য কাজ করতে বলা হয়েছে। কোনো কিছুর প্রতি বিমুখ না হয়ে আপনাদের ধৈর্য ও সমর্থন দরকার।
কিয়ের স্টারমারের আহ্বান
ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। তিনি বলেছেন, এখানে সংঘাত ‘বৃদ্ধির বড় ঝুঁকি’ রয়েছে। তিনি সব পক্ষকে কূটনৈতিক সমাধান খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন। বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
স্টারমার বলেছেন, এর আগে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। আমার মতে, এটিই এই সমস্যা সমাধানের উপায়।’
এমন সময় তার এই মন্তব্য এসেছে যখন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এই উত্তেজনা কমানোর উদ্দেশ্যে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন যাচ্ছেন। যেখানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে দেখা করবেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে ল্যামি এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও আলোচনা করবেন।
নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা
ইরানের আহমেদাবাদের কাছে নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনায় (শহীদ আহমাদি রোশন পারমাণবিক স্থাপনা) হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের বিমানবাহিনী বুধবার রাতে ইরানের নাতাঞ্জ শহরে একটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের দাবি, এটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত হতো। বিবিসি এ তথ্য দিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, এই স্থাপনায় এমন বিশেষ যন্ত্রাংশ ও উপকরণ রয়েছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার হয়। সেখানে এমন প্রকল্প চলছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিকে দ্রুত এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে। ইরানের মূল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে নাতাঞ্জে এর আগেও হামলা হয়েছে। ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রথম দিকে ১৪ জুন সেখানে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই সময় ইরানে ইসরায়েলের হামলায় বেশ কয়েকজন শীর্ষ জেনারেল নিহত হন।
তবে ইরান নিশ্চিত করেছে যে, নাতাঞ্জ পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের ভূমির ওপরের অংশগুলো ধ্বংস হয়েছে। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, সেখানে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা ‘অপরিবর্তিত রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে নামার নীতিগত অনুমোদন ট্রাম্পের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ইরানে সামরিক হামলার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন, তবে চূড়ান্ত নির্দেশ এখনও দেননি বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প তার শীর্ষ উপদেষ্টাদের জানিয়েছিলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থামাতে প্রয়োজন হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। তবে তেহরান শেষ মুহূর্তে কোনো সমঝোতায় আসে কি না, তা দেখার জন্য কিছুটা সময় নিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য লক্ষ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ইরানের ফোর্দো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, যা পাহাড়ের গভীরে অবস্থিত। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই স্থাপনাটি ধ্বংস করতে হলে সবচেয়ে শক্তিশালী বোমার প্রয়োজন হবে।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.