আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইরান থেকে ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের উত্তরের গুরুত্বপূর্ণ শহর হাইফায় আঘাত হেনেছে। টাইমস অব ইসরায়েলের খবরে বলা হয়েছে, হামলার আগে শহরে কোনো ধরনের সতর্কতামূলক সাইরেন বাজেনি, যা নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশজুড়ে।

এই ঘটনা ইসরায়েলিদের মনে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে—ব্যালিস্টিক হামলার মতো গুরুতর পরিস্থিতিতে সতর্কবার্তা না পাওয়ার পেছনে প্রযুক্তিগত ত্রুটি, নাকি ভিন্ন কোনো কারণ রয়েছে। ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ড জানিয়েছে, ঘটনাটি তারা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে।

ইসরায়েলি স্বাস্থ্য ও জরুরি সেবা বিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন, ইরান থেকে চালানো সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০টি স্থানে তাৎক্ষণিক সাড়া দিতে হয়েছে। আহতদের সেবা এবং আগত সংকেত বিশ্লেষণ করতে তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে।

এদিকে, উত্তর ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় পুনরায় সতর্কতামূলক সাইরেন বেজে উঠেছে। সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ২০ থেকে ৩০টির মতো আঘাত হেনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, ইরানি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ জানায়, আজ রবিবার সকালে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন করে প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করেছে ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি)। তারা জানায়, ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনা ও সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রকে লক্ষ্য করে আইআরজিসির এটি ২০তম আক্রমণ।

চলমান উত্তেজনার এই ধাপে প্রতিক্রিয়া জানাতে বিশ্বশক্তিগুলো এখনো পর্যবেক্ষণমূলক অবস্থানে রয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো পূর্ববার্তা ছাড়াই হাইফার মতো জনবহুল শহরে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার ঘটনা সামগ্রিক যুদ্ধ পরিস্থিতিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, মেহর নিউজ

ভয়েস/আআ