আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজার অধিবাসীদের নিরাপত্তার জন্য তাদেরকে যুদ্ধপ্রবণ অংশ থেকে দক্ষিণের দিকে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)। তাদের পক্ষ থেকে শনিবার (১৬ আগস্ট) জানানো হয়, রবিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া স্থানান্তর কার্যক্রমের জন্য বেসামরিকদের মাঝে তাঁবু ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ করা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
আইডিএফ জানিয়েছে, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ত্রাণসহায়তা সংস্থার মাধ্যমে আশ্রয় শিবির নির্মাণের প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রেরণ করা হবে।
এই উদ্যোগের আগে, গত সপ্তাহে গাজা সিটির উত্তরাংশে নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করতে নতুনভাবে সামরিক তৎপরতা শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেটি বাস্তবায়িত হলে ইতোমধ্যে বিপর্যস্ত ২২ লাখ মানুষের জনগোষ্ঠীর ভোগান্তি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
গত রবিবার নেতানিয়াহু বলেছিলেন, গাজা সিটি হচ্ছে হামাসের শেষ ঘাঁটি। নতুন অভিযান শুরুর আগেই বেসামরিকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে।
এদিকে, আশ্রয়সামগ্রী সরবরাহের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, গাজাবাসীকে দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ কেবল ভোগান্তি বাড়াবে। জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র বলেন, বাস্তবে গাজার কোথাও নিরাপদ নয়।
গত সপ্তাহে গাজা সিটির জেইতুন ও শেজাইয়া এলাকায় ইসরায়েলি ট্যাংক ও বিমান হামলা তীব্রতর হয়েছে। শুক্রবার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সেখানে নতুন অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরক ও সুড়ঙ্গ ধ্বংস এবং যোদ্ধাদের টার্গেট করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনি সংগঠন ইসলামিক জিহাদ পুরো পরিকল্পনাকে আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি উপহাস বলে উল্লেখ করেছে।
গাজা সিটিতে বর্তমানে ১০ লাখের মতো মানুষ আছেন। তাদের সবাইকে নিরাপদ অবস্থানে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেওয়া হবে কিনা, রয়টার্সের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে আইডিএফ।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ জানিয়েছেন, গাজা সিটিতে নতুন অভিযানের পরিকল্পনা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.