লাইফস্টাইল ডেস্ক:
পুজোয় দশমীতে ঠাকুর বিসর্জনের আগে সিঁদুর খেলা হয়। নাম সিদের খেলা হলেও এখন অন্য নানা রং ও থাকে। সাধারণত নারীরা সাদা শাড়ি লাল পেড়ে, আর ছেলেরা সাদা কুর্তা, পাঞ্জাবি পরে থাকে। নতুন সাদা কাপড়ে রং লেগে যাবে ভেবে উৎসব মাটি করবেন? দেখুন কিছু নিয়ম মেনে খেললে, দাগের চিন্তা দূরে ঠেলে দিতে পারবেন।
রঙ বা সিঁদুর শুকিয়ে গেলে দাগ বসে যায়। তাই কাপড়ে লাগার পরপরই পরিষ্কার করার চেষ্টা করবেন। সিঁদুর গুঁড়া হলে আগে শুকনো কাপড় বা ব্রাশ দিয়ে যতটা সম্ভব ঝেড়ে ফেলুন। মনে রাখবেন, পানি দিয়ে ঘষা শুরু করলে দাগ ছড়িয়ে যাবে।
দাগ লেগে থাকা জায়গা প্রথমে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। কখনওই গরম পানি ব্যবহার করবেন না, এতে দাগ স্থায়ী হয়ে যায়। চাইলে সাদা কাপড় হলে অক্সিজেন ব্লিচ (যেমন Vanish বা OxiClean) ব্যবহার করতে পারেন। তবে ক্লোরিন ব্লিচ ব্যবহার করলে কাপড়ের ফ্যাব্রিক নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
প্রাকৃতিক রঙ হলে করণীয়
এগুলো সাধারণত ফুল, হলুদ, পালং, চন্দন বা অন্য ভেষজ উপাদান থেকে বানানো হয়। এক দুইবার সাবান–ডিটারজেন্টে ধুলেই সহজেই উঠে যায়। কিন্তু যদি কেমিক্যাল মিশ্রিত সিনথেটিক রঙ হয় যাতে মেটালিক পিগমেন্ট থাকে সেক্ষেত্রে কাপড়ের আঁশে শক্তভাবে বসে যায়। এমনিতেই সহজে ওঠে না, কয়েকবার ধোয়া ও বিশেষ যত্ন নিতে হয়।
সাবান ও ভিনেগারের মিশ্রণ খুব কাজের
হালকা ডিটারজেন্ট বা লিকুইড সাবান ব্যবহার করুন। এক চামচ সাদা ভিনেগার মিশিয়ে কাপড়ের দাগের ওপর লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা হাতে ঘষুন।
কাপড়ে দাগ নিয়ে ভাববেন না, উৎসবে মাতুন
বেকিং সোডা পেস্ট
বেকিং সোডা ও পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানান। দাগের ওপর লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন।
নতুন বা সাদা কাপড় হলে দাগ বেশি ধরা পড়ে। যত দ্রুত ধোবেন, তত সহজে রঙ উঠবে। গরম পানি ব্যবহার করলে অনেক সময় রঙ স্থায়ী হয়ে যায়, তাই শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করবেন।
রঙিন বা সিল্কের কাপড়ে ব্লিচ ব্যবহার করবেন না। নতুন কাপড় হলে আগে ছোট একটি জায়গায় টেস্ট করে নিন, রঙ উঠে যাচ্ছে কিনা।
যেহেতু রঙ লেগে থাকার ঝুঁকি থাকছে না, সেহেতু মন খুলে রঙ খেলুন এই পুজোয়।
ভয়েস/আআ
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.