ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
সদ্য বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য সরকার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির যে প্রাক্কলন করেছে তাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে রাজনৈতিক সংখ্যায় পরিণত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। এছাড়া জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলনে করোনার প্রভাব হিসাব করা হয়নি বলেও মনে করে সংস্থাটি।
সিপিডি বলছে, এই ধরনের প্রবৃদ্ধি হিসাব সরকারের নীতি প্রণয়নে বিভ্রান্তি তৈরি করবে। এছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রয়োজনে যুক্ত দেশগুলোও বিভ্রান্তিতে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।
রোববার সিপিডি আয়োজিত এক অনলাইন বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলা হয়।
সিপিডি’র বিশ্লেষণে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে মনে হচ্ছে, অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের হিসাব করেই জিডিপি প্রবৃদ্ধির হিসাব দেয়া হয়েছে। তবে করোনা সময়কালীন অর্থ বছরের শেষ তিন মাসের (এপ্রিল-জুন) তথ্য-উপাত্ত প্রাক্কলিত জিডিপিতে হিসাব করা হয়নি। করোনার প্রভাব হিসাবে নিলে প্রবৃদ্ধি ৫.২৪ শতাংশ হওয়ার কথা নয়। সিপিডি’র আগের হিসাবে এই হার ২.৫ শতাংশ বা তার কাছাকাছি হওয়ার কথা।
করোনার প্রভাব হিসাবে নিয়ে প্রকৃত তথ্য উপাত্ত দিয়ে হিসাব করলে যে প্রবৃদ্ধি পাওয়া যাবে, সেটা অন্য অনেক দেশের তুলনায় সম্মানজনক হবে বলে মনে করে সিপিডি। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, পাকিস্তানের প্রবৃদ্ধি হয়েছে -০.৪ শতাংশ, ভিয়েতনামের ১.৮১ শতংশ। সেখানে বাংলাদেশের ৫.২৪ শতাংশ।
সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে রাজনৈতিক সংখ্যায় পরিণত করা হয়েছে।
এটিকে সরকারের সাফল্য হিসেবে দেখানো হয়। কিন্তু অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি শুধু সংখ্যা নয়। যদি দারিদ্র্য না কমে, বৈষম্য যদি বেড়ে চলে, কর্মসংস্থান তৈরি না হয়; তাহলে উচ্চ প্রবৃদ্ধি দিয়ে কোনও কাজ হয় না।
প্রবৃদ্ধি এখন রাজনৈতিক সংখ্যা হওয়ায় তথ্য সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতাও খর্ব করা হচ্ছে বলেও মনে করেন ফাহমিদা খাতুন।
তথ্য উপাত্তের দুর্বলতা দূর করতে পরিসংখ্যান ব্যুরোকে আরো শক্তিশালী করার সুপারিশ করেছে সিপিডি। প্রতি তিন মাস পর জিডিপি’র হিসাব করা ও সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য অঞ্চলভিত্তিক জিডিপি’র হিসাব দেয়ার সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্বাসযোগ্য তথ্য উপাত্তের জন্য আলাদা একটি কমিশন গঠনের সুপারিশ করে সিপিডি’র ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ক্ষেত্রে সরকার চাইলে সিপিডি সব ধরনের সহায়তা করবে।
সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সরকার জিডিপি’র যে ধরনের প্রাক্কলন করেছে, তাতে দারিদ্র্যের হার বাড়ার কথা নয়। আর দরিদ্র মানুষের সংখ্যা যদি না বাড়ে, তাহলে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়ানোরও কথা নয়। সরকারের মধ্যে এত উদ্বেগ সৃষ্টির কিছু নেই। সূত্র:মানবজমিন।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.