ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণ স্থল মসজিদ পরিদর্শনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন এই ধরনের মসজিদে এতগুলো এসি ব্যবহার করা খুবই বিপজ্জনক।
শনিবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মসজিদে যেভাবে এসি লাগানো হয়েছে এবং বিদ্যুতের যে লোড ব্যবহার করা হয়েছে সেটা নিয়মবহির্ভূত। এ ধরনের মসজিদে এত এসি ব্যবহার খুব বিপজ্জনক। এই মসজিদটিতে কীভাবে এত লোড ব্যবহার করা হলো তা খতিয়ে দেখা হবে।
পরিদর্শনে আসলে স্থানীয়রা তাকে জানান, গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে নসরুল হামিদ বিপু বলেন, কারো গাফিলতি থাকলে তার চাকরি থাকবে না এবং সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থাও নেয়া হবে। আমি দেখলাম এখানে অনেকে অবৈধ গ্যাস সংযোগ চালাচ্ছে। কোনো অঘটন ঘটলে আমরা সবাই সচেতন হই। গুটিকয়েক অফিস নিয়ে সারা দেশের সার্ভিস সম্ভব নয়, জনগণ যদি সহযোগিতা না করে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো পরীক্ষা করা দরকার। তারা যে এসি ব্যবহার করছেন, যে বিদ্যুতের লোড ব্যবহার করছেন সেগুলো তারা বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে পরীক্ষা করাচ্ছেন না। তারা স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ান দিয়ে কাজ করাচ্ছেন। সেখানে নিম্নমানের তার ব্যবহার করা হচ্ছে। যে কারণে প্রায় সময় শর্টসার্কিট হয়ে দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে মসজিদটি রাস্তার ওপরে। সামনে দিয়ে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে বর্ধিত করেছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে পারলাম, এখান দিয়ে গ্যাস লাইন গিয়েছে। তদন্তের পর বোঝা যাবে কোথা থেকে কোন গ্যাস লাইন এসেছে। এখানে অনেক অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। নিম্নমানের জিআই পাইপ দিয়ে লাইনগুলো টানা হয়েছে। কারো কোনো মিটার নাই। আমরা চেষ্টা করছি অবৈধ লাইনগুলো বিচ্ছিন্ন করার।
মসজিদের নিচের লিকেজ গ্যাস লাইনটি সরাতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছিল সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে দুটো বিষয়। এক এখানে গ্যাস লাইন আসল কীভাবে? এবং এই গ্যাস লাইনের ওপরে মসজিদ নির্মাণ হলো কীভাবে? যদি তাই হয়ে থাকে, তবে এটা অবৈধ। এবং যারা নির্মাণ করেছেন তাদেরও শাস্তি হওয়া দরকার। যারা এখানে অবৈধভাবে সংযোগ নিয়েছেন তাদেরও শাস্তি হওয়া দরকার। আমার বিভাগের যেকোনো কর্মকর্তার যদি গাফিলতি থাকে তাহলে তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে’।
এ সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র:দেশরূপান্তর।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.