ভয়েস লাইফস্টাইল ডেস্ক:
বর্ষা মৌসুমে ঘরের দেয়ালে ড্যাম্প ধরে। বিশ্রী কালচে ছোপ পড়ে এবং দেয়ালের রঙ চটে যায়। বৃষ্টি শেষ হয়ে কড়া রোদ হলেই দেয়ালের পলেস্তার ফুলে ওঠে। এরপর ধীরে ধীরে ঝরে পড়ে। এমন সমস্যায় কমবেশি সবাইকে ভুগতে হয়।
বিশেষ করে পুরোনো বিল্ডিংয়ের বাসিন্দাদের ড্যাম্পিংয়ের সমস্যা পোহাতে হয়। তবে নতুন বা পুরোনো বিল্ডিং যাইহোক না কেন, নিচতলায় বসবাসকারীদের বর্ষা ও শরতের ৩/৪ মাস এ সমস্যায় ভুগতে হয়। তবে বর্ষার শুরু থেকে শরৎকাল অব্দি কিছু বিষয়ে সচেতনভাবে নজর দিলে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
ড্যাম্পিং প্রুফ ব্যবহার করেও সমস্যা নিরসন সম্ভব
ড্যাম্প বা স্যাঁতস্যাঁতভাব দূর করতে যা করবেন:
উৎস চিহ্নিত করুন: প্রথমে ঘরের দেয়ালের যেসব জায়গা থেকে ড্যাম্প ছড়াচ্ছে তা চিহ্নিত করুন। অনেক সময় দেখা যায়, কোনও জায়গা থেকে ক্রমাগত পানি চুঁইয়ে পড়ার ফলে দেয়ালের কোনও অংশ দিনের পর দিন ভিজে থাকে।
ফলে দেয়ালের ওই ভেজা অংশ থেকেই ড্যাম্প ছড়াতে থাকে। তাই প্রথমেই ড্যাম্পের উৎসস্থলটা চিহ্নিত করা জরুরি। ঘরের দেয়ালের পানি চুঁইয়ে পড়ার কারণ খুঁজে বের করতে হবে আর যত দ্রুত সম্ভব সেই সমস্যার সমাধান করতে হবে।
নজর রাখুন ঘরের ভেন্টিলেশনে: ঘরের ভেন্টিলেশনের দিকে নজর রাখুন। অনেক সময় সেখান থেকেও পানি চুঁইয়ে দেয়াল নষ্ট হতে পারে। তাই বর্ষার আগেই ব্যবস্থা নিন।
ফাটল মেরামত: অনেক সময় বাড়ির ছাদে ফাটল ধরে পানি চুঁইয়ে ঘরের ভিতরে ছাদের অংশে বা দেয়ালে ড্যাম্প ধরে। এক্ষেত্রে দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে ছাদের ওই ফাটল মেরামত করা জরুরি।
ওয়ালমেট: দীর্ঘদিন কোনও ওয়ালমেট বা আসবাব দেয়ালে ঝোলানো থাকলে সেখানেও ড্যাম্প ধরে। এক্ষেত্রে কিছুদিন পর পর আসবাবপত্রের জায়গা পালটে ফেলুন।
খোলামেলা ঘর: চেষ্টা করুন ঘর যাতে দিনের বেশির ভাগ সময় খোলামেলা থাকে। কারণ বদ্ধ ঘরে অতিরিক্ত জলীয়বাষ্প বা আর্দ্রতা জমে দেওয়ালে ড্যাম্প পড়ার আশঙ্কা থাকে।
এছাড়াও বাজারে উপলব্ধ ‘মোল্ড রেজিস্ট’ রং বা জিপসাম প্লাস্টার ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ঘরের দেয়ালকে ড্যাম্প পড়ার হাত থেকে দীর্ঘদিন রক্ষা করতে সক্ষম।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.