ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
ভারতের গুজরাট রাজ্যের সুরত এলাকার একটি স্পা সেন্টার থেকে ১৪ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি কিশোরীকে উদ্ধার করেছে সেখানকার পুলিশ।
ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস নাউ জানিয়েছে, শনিবার সুরত পুলিশের মানব-পাচার বিরোধী সেল অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীর সঙ্গে পাঞ্জাবের ১৯ বছর বয়সী আরেক তরুণীকে উদ্ধার করে।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে স্পা সেন্টারের মালিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি কিশোরীর বাড়ি খুলনা জেলায়। দুই বছর আগে তাকে ভারতে পাচার করা হয়। এই সময়ের ভেতর চারবার বিক্রি হতে হয়েছে তাকে।
স্পা সেন্টারের দুই মালিকের নাম বিজয় পাঘরা ও মনসুখ কাঠিরিয়া। তাদের সঙ্গে ধরা পড়েছেন ম্যানেজার বিশাল ভানভেদে।
খুলনার ভুক্তভোগী কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে, তার গ্রামেরই এক লোক তাকে অপহরণ করে ভারতে নিয়ে যায়। সেই ব্যক্তি তাকে বেঙ্গালুরুর মিলন নামের একজনের কাছে বিক্রি করে। সেখানে কয়েক দিন রেখে তাকে পাঠানো হয় মুম্বাইয়ের নিতু নামের এক নারীর কাছে। নিতু তাকে আবার বিক্রি করে দেন গুজরাটের সাব্বির আলম নামের আরেক ব্যক্তির কাছে। সেখান থেকে ৫০ হাজার রুপিতে তাকে কিনে নেন মনসুখ কাঠেরিয়া।
ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশি মেয়ের বাবা দুই বছর আগে মহসিন নামের একজনকে অভিযুক্ত করে খুলনা জেলা পুলিশের কাছে মামলা করেন। মেয়েটিকে তিনদিন আগে সুরতে আনা হয়েছে। এখানে তাকে যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।’
৪২ শতাংশ বাংলাদেশি শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার: গত ১০ জুলাই সেজ পাবলিকেশন্সের একটি গবেষণার বরাত দিয়ে ভারতের বেসরকারি সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানায়, দেশটির গোয়ার বিভিন্ন হোটেল, সমুদ্র সৈকত এবং ইয়োগা সেন্টারে যে শিশুরা প্রায়ই যৌন নিপীড়কদের কবলে পড়ে তার মধ্যে ৪২ শতাংশ বাংলাদেশি!
ওই গবেষণায় প্রায় ২০০ জন ভুক্তভোগী অংশ নেয়। সেখানে দেখা গেছে, ৪২ শতাংশ অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাংলাদেশের, ২৮ শতাংশ থাইল্যান্ডের এবং ২৫.৫ শতাংশ নেপালের, ১৬ শতাংশ উজবেকিস্তানের। সূত্র:দেশরূপান্তর।
ভয়েস/জেইউ।
উপদেষ্টা সম্পাদক : আবু তাহের
প্রকাশক ও প্রধান সম্পাদক : আবদুল আজিজ
সম্পাদক: বিশ্বজিত সেন
অফিস: কক্সবাজার প্রেসক্লাব ভবন (৩য় তলা), শহীদ সরণি (সার্কিট হাউজ রোড), কক্সবাজার।
ফোন: ০১৮১৮-৭৬৬৮৫৫, ০১৫৫৮-৫৭৮৫২৩ ইমেইল : news.coxsbazarvoice@gmail.com
Copyright © 2025 Coxsbazar Voice. All rights reserved.