শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক:
৪২ কোটি টাকা মূল্যের এক সাথে ১৪ লক্ষ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার এবং ইয়াবা বিক্রির ১ কোটি ৭০ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫০০ নগদ টাকা উদ্ধারের মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। একইসাথে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি জহুরুল ইসলাম প্রকাশ ফারুক ও নুরুল আমিন প্রকাশ বাবুকে ৫ লক্ষ টাকা করে অর্থদন্ড এবং দন্ডিত আবুল কালামকে ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে প্রত্যেককে আরো ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
রায়ে উদ্ধারকৃত ইয়াবা বিক্রির ২টি বস্তাভর্তি নগদ ১ কোটি ৭০ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। রায়ে আসামী আবুল কালাম এর পুত্র শেখ আবদুল্লাহ (১৯) কে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল দেশের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ ইয়াবা টেবলেট ও নগদ টাকা উদ্ধারের চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। একই আদালতের জেলা নাজির বেদারুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
যাবজ্জীবন কারাদন্ড হওয়া আসামী হলো : নজরুল ইসলাম ও সোলতানা রাজিয়া বেগম এর পুত্র জহুরুল ইসলাম প্রকাশ ফারুক (৩৭), মোজাফফর আহমদ ও হাজেরা খাতুন এর পুত্র নুরুল আমিন প্রকাশ বাবু (৫৫) এবং আবুল হোসেন ও হাসনা বানু’র পুত্র আবুল কালাম (৫০)। এই ৩ জন আসামীর সকলের বাড়ি কক্সবাজার পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর নুনিয়াছটায়। রায় ঘোষণার সময় ৪ জন আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্র পক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ এবং আসামীদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোঃ ছৈয়দ আলম, অ্যাডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী অ্যাডভোকেট নুরুল মোস্তফা মানিক ও অ্যাডভোকেট আবদুল বারী মামলাটি পরিচালনা করেন।
২০২১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী বেলা ২ টার দিকে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ (গোয়েন্দা বিভাগ) এর একটি টিম কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী-খুরুস্কুল সংযোগ সেতুর উত্তরে ভারুয়াখালী খাল থেকে একটি কাঠের তৈরি বোট আটক করে। বোট থেকে জহুরুল ইসলাম প্রকাশ ফারুক ও নুরুল আমিন প্রকাশ বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রোহিঙ্গা সৈয়দ আলম পালিয়ে যায়। ধৃত আসামীদের দেখানো মতে উক্ত বোট তল্লাশি করে ৪২ কোটি টাকা মূল্যের ১৪ লক্ষ পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়।
ভয়েস/আআ