রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

বিশ্ব বক্তদাতা দিবস: রক্তদানে উৎসাহিত করতেই এই দিবস

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

১৪ জুন, সোমবার বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। জরুরি অবস্থায় বিনামূল্যে যারা রক্তদান করেন তাদের জন্য়ই বিশেষ এই দিনটি রাখা হয়েছে। স্বেচ্ছায় রক্তদাতা এবং নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুনীদের রক্তদানে উৎসাহিত করতেই এই দিবসটি সারাবিশ্বে পালন করা হয়।

১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক রক্তদান দিবস পালন করা হয়। ২০০০ সালে ‘নিরাপদ রক্ত’-এই থিম নিয়ে পালিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০০৪ সালে প্রথম পালিত হয় বিশ্ব রক্তদান দিবস। ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকে প্রতিবছর এ দিবস পালন করে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

থ্যালাসেমিয়া, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, দুর্ঘটনায় আহত, সন্তান প্রসব, অ্যানিমিয়া, হিমোফিলিয়া, অস্ত্রোপচার, রক্তবমি সহ বিভিন্ন সময়ে রোগীর শরীরে রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে স্বেচ্ছায় রক্তদাতার ওপর ভরসা করা নিরাপদ বলে জানিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্বের নানা দেশ থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে জানা যায়, ‘নিরাপদ রক্ত সরবরাহের’ মূল ভিত্তি হলো স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে দান করা রক্ত। কারণ তাদের রক্ত তুলনামূলকভাবে নিরাপদ এবং এসব রক্তের মধ্য দিয়ে গ্রহীতার মধ্যে জীবনসংশয়ী সংক্রমণ, যেমন এইচআইভি ও হেপাটাইটিস সংক্রমণের আশঙ্কা খুবই কম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৬০ বছরের যে কোনো সুস্থ মানুষ ৪ মাস পরপর রক্তদান করতে পারবেন। রক্তদাতার শরীরে হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, এইচআইভি বা এইডস, ম্যালেরিয়া ও সিফিলিস এই ৫টি রোগ আছে কি-না, তা নিশ্চিত করতে হয়। এছাড়া রোগীর রক্তের সঙ্গে রক্তদাতার রক্তের গ্রুপিং এবং ক্রসম্যাচিং করে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতি বছর বিভিন্ন কারণে ৬ লাখ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। এই রক্তের একটা বড় অংশ আসে পেশাদার রক্ত বিক্রেতাদের কাছ থেকে। কিন্তু তাদের দেহে অনেক সংক্রমক ব্যাধি থাকার সম্ভাবনা থাকে। যা রক্ত গ্রহীতার দেহে সংক্রমিত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী রক্তদাতার শরীরে হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, এইচআইভি বা এইডস, ম্যালেরিয়া ও সিফিলিস এই পাঁচটি রোগ আছে কি-না, তা নিশ্চিত করতে হয়। এছাড়া রোগীর রক্তের সঙ্গে রক্তদাতার রক্তের গ্রুপিং এবং ক্রসম্যাচিং জরুরি।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION