রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

করোনা অনিয়ন্ত্রিত হওয়ার কারণ ‘ডিনায়াল’

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

‘গরিবের করোনা হয় না’, ‘বস্তিতে করোনা নেই’, ‘করোনা বড়লোকের রোগ’, ‘আমার কিছু হবে না’, ‘মাস্ক না পরলে কী হয়’‑ গত মার্চে করোনা আবির্ভূত হওয়ার পর থেকে এসব বাক্য ছিল সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। বার বার স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হলেও এসব ডিনায়াল (অগ্রাহ্য) প্রবণতা পরিস্থিতিকে বার বার খারাপের দিকে নিয়েছে।

চিকিৎসক ও করোনা নিয়ন্ত্রণে গবেষণা ব্যবস্থাপকরা বলছেন, আমরা শুরু থেকে বলেছি, অবহেলা করবেন না, অস্বীকার করবেন না। কিন্তু এখনও জেনে বুঝে একই আচরণ করছেন তারা। ফলে নিজে আক্রান্ত হচ্ছেন, আর দশজনকে সংক্রমিত করছেন। আর করোনা নিয়ন্ত্রণে আমাদের সকল চেস্টা ব্যর্থ হচ্ছে।

লকডাউনের মধ্যে আগারগাঁও অফিস পাড়ায় আড্ডায় মেতেছে আশেপাশের নিম্নবিত্ত পরিবারের কয়েকজন যুবক। পাশাপাশি বসা, এক বোতলে সবাই পানি খাচ্ছেন, সিগারেট ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। করোনা এভাবে মোকাবিলা হবে‑ এমন প্রশ্ন করা হলে সাফ জবাব, এখানে আমাদের কারোর করোনা হয়নি, তাহলে আমরা এক বোতলে পানি কেন খেতে পারব না।

এক বন্ধু পরিবার আরেক বন্ধু পরিবারকে দাওয়াত দিয়েছেন লকডাউনের ভিতরে। বিশেষ সেবামূলক কাজে যুক্ত থাকায় তাদের বের হতে সমস্যা নেই। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে কেন এসব ডাকাডাকি‑ এই প্রশ্নে তারা উভয়েই বলেন, বাইরের লোক থাকছে না তো। আমরা তিন বন্ধু পরিবার। তারা পরস্পর চেনা-জানা বলেই করোনা হবে না, কেবল বাইরের অচেনা লোকের সংস্পর্শেই করোনা হবে।

কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম মনে করেন, এ ধরনের ডিনায়াল আমাদের বার বার বিপদে ফেলছে। তিনি বলেন, গত বছরের কোরবানির ঈদেও সংক্রমণ বেড়েছিলো। আমরা গত বছরও দেখেছি দুই ঈদের মাঝখানে অবস্থা খুবই খারাপ হয়। তবে এবারের পরিস্থিতি আরও ভয়ানক। কারণ এবারের যে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট তা ভয়ানক। যারা ভেবেছিলেন, করোনা শুধু বড়লোকদের সংক্রমিত করে, তারা এবার বুঝতে পারছেন করোনা কাউকেই ছাড়ে না। এই ভেরিয়েন্ট শহর-গ্রাম সর্বত্র দ্রুত ছড়ায়।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, আমরা বার বারই বলছি করোনা টেস্ট করতে দিলে রেজাল্ট না পাওয়া পর্যন্ত নিজেকে পজেটিভ ভেবে নিয়ে ঘরে থাকবেন। কিন্তু ফলাফল জানাতে ফোন করলে বেশিরভাগকেই বাসায় পাওয়া যায়নি। তারা নিজেরাই বলেছেন, জ্বর নাই তাই বাড়ির পাশের চাদোকানে আড্ডা দিচ্ছেন, কেউ বলছেন বাজারে যাওয়ার কথাও। তাহলে আপনি যাই করুন না কেন মহামারি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।সূত্র:বাংলাট্রিবিউন।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION