শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
শিরোনাম :

ঝুঁকি নিয়ে লকডাউন শেষ, সচেতনতাই ভরসা

কক্সবাজার শহরে যানজট, ফাইল ছবি।

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

দেশে করোনা সংক্রমণের গত দেড় বছরের মধ্যে গত জুলাই ছিল সর্বোচ্চ সংক্রমণের মাস। সে মাসে দৈনিক রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৮৪৬ ও মারা গেছে ১৯৯ জন করে এবং দৈনিক গড় শনাক্ত হার ছিল ৩০ শতাংশ। কিন্তু চলতি আগস্টের প্রথম ১০ দিনেই সংক্রমণের সেসব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এমনকি জুলাইয়ের শেষ ১০ দিনের তুলনায় এ মাসের গত ১০ দিনে রোগী ও মৃত্যু বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত মাসের শেষ ১০ দিনে (২২-৩১ জুলাই) দৈনিক রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ২৯৮ জন করে, মৃত্যু হয়েছে ২১৯ জন করে এবং ১০ দিনের গড় শনাক্ত হার ছিল ২৭ শতাংশ। সেখানে এ মাসের শেষ ১০ দিনে দৈনিক রোগী শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৬৮৪ এবং দৈনিক মারা গেছে ২৪৮ জন করে। শুধু কিছুটা কমেছে গড় শনাক্ত হার। জুলাইয়ের শেষ ১০ দিনে এ হার ছিল ২৭ শতাংশ; সেখানে গত ১০ দিনে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ শতাংশ।

এমনকি গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আবারও সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। এর আগে গত ৫ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছিল। এ নিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৩ হাজার ১৬১ জন এবং গতকালই মাত্র চার দিনের ব্যবধানে এক হাজার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়ায়।

করোনার এমন পরিস্থিতিকে এখনো বিপজ্জনক পর্যায়ে ও সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, দেশে সংক্রমণ এখনো বিপদসীমার অনেক ওপরে রয়েছে।

এমনকি সামনে কমার তেমন কোনো লক্ষণও দেখছেন না তারা। তারা বলছেন, কমতে হলে সংক্রমণ স্থির হতে হবে। কিন্তু তা হচ্ছে না। বরং কোনোদিন বাড়ছে, কোনোদিন কমছে।
এমন অবস্থায় আজ বুধবার থেকে সারা দেশে সব বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। অফিস, ব্যাংক, রেস্তোরাঁ, দোকানপাট ও গণপরিবহনসহ প্রায় সবকিছু খুলে দেওয়া হচ্ছে। মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এতদিন বাস-ট্রেন-লঞ্চে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহন করতে দেওয়া হলেও এবার আর সেই বিধিনিষেধ থাকছে না। তবে গণপরিবহনকে দাঁড়ানো যাত্রী না নিতে বলা হয়েছে। এর আগে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে গত মাসের প্রথম দুই সপ্তাহ দেশে সর্বাত্মক বিধিনিষেধ পালন করা হয়। এ সময় সব ধরনের অফিসের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু ২১ জুলাই ঈদুল আজহা উপলক্ষে এই বিধিনিষেধ আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে আবার সর্বাত্মক বিধিনিষেধ চালু করা হয়। সে বিধিনিষেধ গতকাল মঙ্গলবার শেষ হয়েছে।

সংক্রমণের এমন পরিস্থিতিতে সবকিছু খুলে দেওয়ার কারণে সংক্রমণ ও জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা করছে সরকারের গঠিত কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটি ও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এ ব্যাপারে কভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ‘সংক্রমণের যে পরিস্থিতি, এ অবস্থায় যদি সবকিছু খুলে দেওয়া হয়, তাহলে মারাত্মক ঝুঁকি থাকবেই। কিন্তু সরকার তো পারছে না। এটাতে সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি থাকল। সেই ঝুঁকিটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে। যেহেতু সরকার খুলে দিয়েছে, তাই এখন সরকারকে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর ব্যাপারে কঠোর হতে হবে। সরকার যদি স্বাস্থ্যবিধি মানানোর ব্যাপারে কঠোর হতে পারে, টিকাদান কর্মসূচি নিরবচ্ছিন্নভাবে অব্যাহত রাখতে পারে ও টিকা সরবরাহে যদি কোনো ঘাটতি না হয়, তাহলে এখন সংক্রমণ যে অবস্থায় আছে তার থেকে আর বাড়বে বলে মনে হয় না। বাড়লেও অল্প বাড়বে। এরপর কমা শুরু করবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের সিদ্ধান্তে সবকিছু খোলা হলো। আমরা কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করব যে সংক্রমণের ধারাটা কোন দিকে যায়। তারপর মতামত দেব। ’

অন্যদিকে আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘সংক্রমণ এখনো বিপজ্জনক পর্যায়ে আছে। একটু কমে তো আরেক দিন বাড়ে। এটা এখনো স্থিতিশীল হয়নি, কমা তো পরের কথা। কমতে হলে আগে স্থিতিশীল হতে হবে। সে লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। মৃত্যুর ব্যাপারেও তাই। বিশেষ করে সংক্রমণটা এখনো বিপদসীমার ওপরেই আছে।

১০ দিনে সংক্রমণ আরও বেড়েছে : গত ১০ দিনে দেশে করোনার সংক্রমণ অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও বেড়েছে। গত ১০ দিনে মোট মারা গেছে ২ হাজার ৪৭৬ ও রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৩৪ জন। এ সময় গড় শনাক্ত হার ২৪ শতাংশ। এসব সংখ্যা এর আগের ১০ দিনের চেয়ে বেশি। এর আগে জুলাই মাসের শেষ ১০ দিনে মোট মৃত্যু ছিল ২ হাজার ১৮৭ ও রোগী ১ লাখ ১২ হাজার ৯৮১ জন। হিসাব করে দেখা গেছে, এ মাসের বাকি ২১ দিন এই হারে সংক্রমণ হতে থাকলে চলতি আগস্ট এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ সংক্রমণের মাস হবে।

সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্ত ঢাকায় : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু রেকর্ড হয়েছে। এর আগে ৫ আগস্ট সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬৪ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে মারা গেছে ৯২ জন। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে ৬০, রাজশাহী বিভাগে ২৫, খুলনা বিভাগে ২৭, বরিশাল বিভাগে ১১, সিলেট বিভাগে ১৭, রংপুর বিভাগে ১৪ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ১৬৪ জন। এদের নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলো ১৩ লাখ ৭৬ হাজার ৩২২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ সময়ে ঢাকা বিভাগে শনাক্ত হয়েছে ৫ হাজার ৪৬৮, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫১, চট্টগ্রাম বিভাগে ২ হাজার ৫০৬, রাজশাহী বিভাগে ৫০৮, রংপুর বিভাগে ৩১৫, খুলনা বিভাগে ৭৫৭, বরিশাল বিভাগে ৬৬৯ এবং সিলেট বিভাগে ৫৯০ জন।

বাংলাদেশ মৃত্যুর তালিকায় নবম স্থানে : সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় বর্তমানে বিশ্বের যেসব দেশে এক দিনে সবচেয়ে বেশি রোগী মারা যাচ্ছে, সেই তালিকায় নবম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মৃত্যুর যে তালিকা করেছে, সেখানে বাংলাদেশের এই অবস্থান হয়েছে। এ সময় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায় ১ হাজার ৪৭৫ জনের। তারপর মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে ৯৯০ জনের। তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে রাশিয়ায় ৭৬৯ জনের। এ সময় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ব্রাজিলে ৪৩ হাজার ৩৩ জন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে ইরানে ৩৯ হাজার ৬১৯ জন। রোগী শনাক্তের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত, ৩৫ হাজার ৪৯৯ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বুলেটিন : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সাড়ে ৪৭ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সরকারি হিসাবে এক দিনে সেরে উঠেছে ১৪ হাজার ৯০৩ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৬২ জন সুস্থ হয়ে উঠল। এ সময় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৫৪ শতাংশে। এই হার আগের দিন ২৪ দশমিক ২৮ শতাংশ ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৬৪ জনের মধ্যে ১৫০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৬৬ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১৬ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল। মৃতদের মধ্যে ১৫৪ জন ছিল পুরুষ, ১১০ জন নারী। ১৯২ জন সরকারি হাসপাতালে, ৬২ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং ১০ জন বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে : অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ‘সবকিছু শিথিল অবস্থায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাধারণ মানুষেরও দায়িত্ব আছে। কিছু মানুষ আছে যাদের কোনোভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাচ্ছে না। এখনো মানুষ মাস্ক পরছে না। মানুষকে সচেতন হতে হবে এবং অন্য মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে যে মানুষটা অসংবেদনশীল এবং অবিবেচকের মতো কাজ করছে, তাদের আমাদের বলা উচিত এবং সঙ্গে প্রশাসনের সহযোগিতা করা উচিত। ’

ভারতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কারিগরি কমিটির সভাপতি উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ‘শেষবার যখন ভারতে ব্যাপক মানুষ মারা যায়, সেবার মানুষ ভয় পেয়েছে। সরকার যখন লকডাউন ও শাটডাউন দেয়, তখন সে দেশের মানুষ ভয়ে নিজেরাই বের হতো না। পাশাপাশি প্রশাসন খুবই কড়া ছিল। মাস্ক না পরলেই জরিমানা করেছে। আমাদের এখানেও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মানুষকে ভয় পেতে হবে, বিবেচক মানুষদের অবিচকদের বোঝাতে হবে এবং প্রশাসনকে সক্রিয় থাকতে হবে। শুধু স্বাস্থ্যবিধিটা মানলেই বারবার লকডাউনের প্রয়োজন হবে না। লকডাউন দিয়ে আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানি, তাহলে কোনো লাভ হবে না।

একইভাবে ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘দেশে সংক্রমণের যে পরিস্থিতি, তাতে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় এখনই সবকিছু খোলার কথা না। কিন্তু সরকারকে বাধ্য হয়েই খুলতে হয়েছে। এতদিন বন্ধ থাকলে নাগরিকদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করার সক্ষমতা আমাদের দেশের নেই। ’ এই বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেন, ‘এখন বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। বিশেষ করে গণপরিবহন, বাজারঘাট ও অফিস-আদালতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্র্তৃপক্ষ এবং সরকার মিলে ভিড়গুলো যেন না হয়, সেটা খুব কঠোরভাবে দেখতে হবে। এছাড়া দৈনিক যত রোগী শনাক্ত হবে, তাদের চিকিৎসা, কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। শনাক্ত রোগীদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে যারা এসেছে, তাদের সবার পরীক্ষা করতে হবে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘যে স্বাস্থ্য বিধিনিষেধ চালু ছিল, সেটা কার্যকরী হলে এ মাসের শেষ নাগাদ সংক্রমণ কমে যাওয়ার আশা ছিল। কিন্তু এখনো সে লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ’

সবকিছু খুলছে আজ : দীর্ঘদিন ধরে ‘কঠোর’ বিধিনিষেধের পর আজ বুধবার থেকে শর্তসাপেক্ষে অফিস ও গণপরিবহনসহ সবকিছু খুলে দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে গত রবিবার এক আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সেখানে বলা হয়, গত ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌপথে আসনসংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন বা যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহনসংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে। এছাড়া শপিং মল, মার্কেট ও দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখা যাবে। সব শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে। আর খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা যাবে। আদালতের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।

সরকারি আদেশে বলা হয়, সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে করতে হবে। গণপরিবহন, বিভিন্ন দপ্তর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোনো প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION