শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৩ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

নম্বর পেয়েও খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে

টিসিবি পণ্য।

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

রামপুরা বাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গাড়ি এসেছে ঠিক দুপুর ১টায়। তখন সেখানে উত্তপ্ত রোদ। সুবিধাজনক জায়গা না পেয়ে রোদের মধ্যেই দাঁড়িয়েছে গাড়িটি।

সেখানে পণ্য নিতে আসা সালেহা বেগম বলেন, ‘এখানে কয়েক মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার উপায় নেই। রোজা থেকে খুব কষ্ট হয়ে যায়। তারপরও পণ্য পাওয়া গেলে খুব উপকার হবে। কয়েকদিন দাঁড়িয়ে সিরিয়াল পাইনি।’

ট্রাকসেল পরিচালনা করছে শেখ জেনারেল স্টোর। ডিলারের কর্মী জাহিদ আগেই ২৫০ জনকে হাতে কালি দিয়ে সিরিয়াল দিয়েছেন। ভিড়ের কারণে এখন রাজধানীর অধিকাংশ টিসিবির ট্রাকসেলে ক্রেতাদের হাতে অমোচনীয় কালি ব্যবহার করা হচ্ছে। এরপর সে অনুযায়ী পণ্য দেওয়া হয়। কিন্তু ট্রাক আসার কিছুক্ষণের মধ্যে বরাদ্দের ২৫০ জনের সিরিয়াল শেষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, যারা হাতে এ সিরিয়াল পেয়েছেন তারা কিছুক্ষণ লাইনে দাঁড়াচ্ছেন, আবার রোদের কারণে পাশের জনকে দাঁড় করিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করছেন। রোজাদাররা এ লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন।

জাহিদ বলেন, টিসিবির বরাদ্দ অনুযায়ী একটি ট্রাকসেল থেকে ২৫০ জন ক্রেতা সব ধরনের পণ্য পান। এরপরও প্রচুর মানুষ আসছে। রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু তাদের পণ্য দেওয়া সম্ভব হবে না। বললেও শুনছে না। বারবার পণ্যের জন্য তাগাদা দিচ্ছে।

এখন রমজানে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় টিসিবির পণ্য কিনতে স্বল্প আয়ের মানুষের লাইন দীর্ঘ হয়েছে বেশ আগে থেকেই। চাহিদার চেয়ে কয়েকগুণ মানুষের ভিড় ও ডিলারের বরাদ্দ স্বল্পতার কারণে দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে পণ্য না পাওয়ার উৎকণ্ঠায় বিশৃঙ্খলাও দেখা দেয় এসব লাইনে। তখন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ক্রেতাদের হাতে অমোচনীয় কালিতে নম্বর বসিয়ে দেন ডিলারের কর্মীরা। ফলে সিরিয়াল শেষ হওয়ার পরও এসে অনেকে পণ্য পাচ্ছেন না।

ভিড়ের কারণে পরপর কয়েক দিন লাইনে দাঁড়িয়েও পণ্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে অনেক ক্রেতার। এখন অনেকে এসে নম্বর পাচ্ছেন না। পেলেও শেষ দিকে আগের নম্বরের ক্রেতারা একাধিকবার পণ্য নেওয়ায় গরমিল হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ অপকৌশলে পণ্য নিয়ে নিচ্ছেন। ফলে শেষে নম্বর পেয়েও খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে।

এদিকে রমজানে প্রত্যেক ডিলারকে ৫০০ লিটার তেল, ৫০০ কেজি করে চিনি, ডাল, ছোলা ও খেজুর বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, যা একজন ক্রেতার কাছে সবোর্চ্চ দুই লিটার তেল, দুই কেজি করে অন্যান্য পণ্য কিনতে পারছেন। বর্তমানে টিসিবির প্রতি কেজি ছোলা ৫০ টাকা, প্রতি লিটার তেল ১১০ টাকা, প্রতি কেজি চিনির দাম ৫৫ এবং খেজুর ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সূত্র:জাগো নিউজ।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION