রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ন
সাকী মাহবুব:
নামাজ সফলতার সোপান। আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘হে ইমানদাররা! রুকু ও সিজদা করো, তোমার প্রভুর ইবাদত করো এবং নেক কাজ করো হয়তো তোমাদের ভাগ্যে সফলতা আসবে।’ -সুরা হজ : ৭৭
সুরা আল মুমিনুনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চিতভাবে সফল হয়েছে সেসব মুমিন, যারা তাদের নামাজে বিনয় ও একাগ্রতা অবলম্বন করে ও অসার কাজ থেকে বিরত থাকে এবং জাকাতের পথে সক্রিয় থাকে।’ -সুরা আল মুমিনুন : ১-৪
আল্লাহতায়ালা আরও বলেন, ‘সফলকাম হয়েছে সে ব্যক্তি, যে পবিত্রতা অবলম্বন করে এবং নিজের রবের নাম স্মরণ করে ও নামাজ পড়ে।’ -সুরা আলা : ১৪-১৫
এসব আয়াতে আল্লাহতায়ালা নামাজের গুরুত্ব ও মানুষের সার্বিক সফলতার কথা বলেছেন। আপনি যদি দুনিয়া ও আখেরাতে সফলকাম হতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই নামাজ পড়তে হবে।
নামাজই সর্বোত্তম আমল এবং হৃদয় ও চোখের শীতলতা আনয়নকারী। নামাজ সবচেয়ে উত্তম আমল। হজরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) একদা হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি উত্তর দিলেন, সময়মতো নামাজ আদায় করা। হজরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.) তখন বললেন, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, পিতামাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা। সাহাবি আবার বললেন, আমি বললাম, তারপর কী? তিনি বললেন আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। -সহিহ বোখারি
নামাজের মধ্যে রয়েছে দুনিয়া ও আখেরাতের সাফল্য, চিন্তামুক্তির কারণ, হৃদয়ের প্রশান্তি, শরীরের আরাম ও চোখের শীতলতা। মহান আল্লাহ বলেন, ‘জেনে রেখো, আল্লাহর স্মরণেই চিরপ্রশান্তি লাভ করে।’ -সুরা আর রাদ : ২৮
নামাজের পারলৌকিক ফজিলত সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, আচ্ছা বলো তো যদি তোমাদের কারও বাড়ির সামনে একটি পানির খাল থাকে, যাতে সে দৈনিক পাঁচবার গোসল করে, তাহলে কি তার শরীরে ময়লা জমে থাকতে পারে? তারা জবাব দিলেন না, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, এরূপ দৃষ্টান্ত হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের। এর মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা নামাজির অপরাধসমূহ মাফ করে দেবেন।
ভয়েস/আআ