রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৭ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

পানির নিচে মসজিদ বানাবে দুবাই

মুফতি মুহাম্মদ তাসনীম:
কভিড মহামারীর পর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে শীর্ষে উঠে এসেছে দুবাই। আমেরিকান অনলাইন ট্রাভেল কোম্পানি ‘ট্রিপঅ্যাডভাইজার’র প্রকাশিত তালিকায় ২০২২ সালের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে সবার ওপরে ওঠে আসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ের নাম।

ট্রিপঅ্যাডভাইজার বলছে, ‘দুবাই এমন একটি স্থান, যেখানে ইতিহাসের সঙ্গে আধুনিক সভ্যতা-সংস্কৃতির সংমিশ্রণ ঘটেছে। এছাড়া এখানে বিনোদন এবং বিশ্বমানের শপিংয়ের সুযোগ রয়েছে।’

সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে কেবল দুবাইতেই ভ্রমণে গেছেন প্রায় ৪৯ লাখ মানুষ। এর মধ্যে এক অক্টোবর মাসেই শহরটিতে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ১০ লাখ।

সেই দুবাই বিশ্বকে তাক লাগানোর মতো নতুন ঘোষণা দিয়েছে। দেশটি পানির তলদেশে বিশ্বের প্রথম ভাসমান মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে। তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদটির পানির ওপরে দুই তলায় থাকবে বসার জায়গা ও একটি কফিশপ আর পানির নিচে থাকবে নামাজের ব্যবস্থা।

পানির নিচে মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা আরব আমিরাতের ইসলামিক পর্যটনকে আরও শক্তিশালী করবে।

মসজিদ নির্মাণে খরচ হবে সাড়ে পাঁচ কোটি দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রাং ১৫০ কোটি টাকা)। শিগগিরই এই মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে দুবাই কর্র্তৃপক্ষ।

ধর্মীয় পর্যটন প্রকল্প সম্পর্কে এক ব্রিফিংয়ে এ মসজিদ নির্মাণ পরিকল্পনার ঘোষণা দেয় দুবাইয়ের ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস বিভাগ। সংস্থাটির কর্মকর্তা আহমেদ আল মনসুরি খালিজ টাইমসকে বলেছেন, শিগগিরই এ মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

মসজিদটির ঠিক কোথায় নির্মাণ করা হবে, তা এখনো জানানো হয়নি। তবে আহমেদ আল মনসুরি বলেন, এটি সমুদ্র উপকূলীয় এলাকার কাছাকাছি নির্মাণ করা হবে। মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত একটি সেতুর মাধ্যমে সেখানে মুসল্লিরা যেতে পারবেন।

তিনি আরও জানান, সব ধর্মের মানুষই এই মসজিদ পরিদর্শন করতে পারবে। তবে তাদের অবশ্যই শালীন ও ইসলামি রীতিনীতি মেনে চলতে হবে।

২০২৪ সালের মধ্যেই মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হবে। এটি হবে তিন তলা বিশিষ্ট। প্রথম তলা থাকবে পানির মধ্যে। এটি নামাজের জন্য নির্ধারিত থাকবে। দ্বিতীয় তলা হবে হলের জন্য নির্ধারিত এবং তৃতীয় তলা ইসলামিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ৫০ থেকে ৭৫ জন ধর্মীয় ব্যক্তি এখানে একসঙ্গে থাকতে পারবেন। এমন সুবিধাও রাখা হচ্ছে।

মসজিদটিতে কোরআনিক এক্সিবিশনের আয়োজন করা হবে। শেখ মাখতুম বিন রশিদ আর মাখতুম থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের বিতরণকৃত কোরআন মাজিদের কপিগুলো এখানে সজ্জিত থাকবে।

সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই ল্যান্ডমার্ক প্রজেক্টের ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময়ে এখানে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল বিভাগের পরিচালক ড. হামাদ আল শেখ আহমেদ আল সাইবানি। এছাড়া অন্যান্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এমনিতে আরব সাগরের গা ঘেঁষা দুবাই শহরের বৈশিষ্ট্য অন্য সব শহর থেকে আলাদা। রাজসিক জীবন, চোখ ধাঁধানো আলো, বিশাল অট্টালিকা, বিলাসবহুল হোটেল, কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জসহ বিভিন্ন কারণে দুবাই শহর মানুষের পছন্দের শীর্ষে। এ শহরেই রয়েছে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান। সেসবের মাঝে পানির নিচের মসজিদ নিঃসন্দেহে হবে নতুন আকর্ষণ।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION