শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২১ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

হজরত উসমান (রা.)-এর আমলের কূপ পুনরুদ্ধার

মাওলানা ফখরুল ইসলাম:
সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মদিনা মোনাওয়ারার প্রাণকেন্দ্রে একটি ঐতিহাসিক কূপ রয়েছে। ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান (রা.) কূপটি খনন করেছিলেন। মুসলমানদের কাছে এর তাৎপর্য অনেক। সম্প্রতি দেড় হাজার বছর আগে খনন করা কূপটি সংস্কার করা হয়েছে।

কূপটি মদিনার আল বাকি কবরস্থানে অবস্থিত। হজরত উসমান (রা.) নিজ শাসনামলে এটি খনন করেন। শুরুর দিকে এর পানি দিয়ে মুসলমানরা অজু করত, এর পানি দিয়েই নিজেদের প্রয়োজন পূরণ করত। কিন্তু পরে কূপটি বালির স্তরে চাপা পড়ে যায়।

সৌদি আরবের একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থার বিশেষজ্ঞ দল কূপটি পরীক্ষা করে দেখেন, কূপের পানি এখনো প্রবহমান। এরপরই সৌদি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কূপটি পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যাপক পুনরুদ্ধার প্রকল্প শুরু করে ২০২১ সালে। ২০২৪ সালে জানুয়ারিতে কূপটি পুনরুদ্ধার সম্পূর্ণ করেছে বলে ঘোষণা করে মন্ত্রণালয়।

কূপটির ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্ববহ হলেও কালের আবর্তে কূপটি অবহেলায় বালুর স্তরের নিচে চাপা পড়ে যায়। পরে কূপটি খনন করে পুনরুদ্ধার করা হয়। প্রকল্পের অধীনে কূপের বালু এবং পলির স্তরগুলো অপসারণ, কূপের কাঠামো পুনর্নির্মাণ এবং জলাধারের উৎসগুলো খনন করে উদ্ধার করা।

বর্তমানে কূপের চারপাশে একটি নতুন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে, যা দর্শনার্থীদের কূপটির সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ করে দেবে। এ ছাড়া সেখানে একটি বসার জায়গা নির্মাণ করা হয়েছে। কূপটি মদিনা অঞ্চলের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ দলিল।

হজরত উসমান বিন আফফান (রা.) ইসলামের তৃতীয় খলিফা। তিনি ৬৪৪ থেকে ৬৫৬ সাল পর্যন্ত খেলাফতের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি যথেষ্ট অর্থবান ছিলেন। খলিফা নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি রাজকোষ থেকে কোনো বেতন নিতেন না। ইসলামের সংকটকালে আল্লাহর রাস্তায় তিনি যেভাবে খরচ করেছেন, তা চিরকাল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মদিনায় আসার পর তিনি প্রচুর অর্থের বিনিময়ে ইহুদি মালিকানাধীন ‘বীরে রুমা’ কূপটি তাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে মদিনার মুসলিমদের জন্য ওয়াকফ করেন।

হজরত উসমান (রা.)-এর আমলে মুসলিম সাম্রাজ্য বিরাট বিস্তৃতি লাভ করে। হজরত উসমান (রা.) ক্ষমতা নেওয়ার পর জনগণের ভাতা আগের চেয়ে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছিলেন। তার আমলে বিজিত অঞ্চলে জমি কেনাবেচা নিষিদ্ধ থাকলেও তিনি এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন এবং ব্যবসার সুযোগ বাড়িয়ে দেন। তার আমলে ইসলামি বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল খুব সমৃদ্ধ।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION