শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন
জামিল আহমদ:
সংযমের মাস পবিত্র রমজান। মুসলমানদের কাছে এই পবিত্র মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মাসজুড়ে রোজা রেখে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ে ইবাদতে নিমগ্ন থাকেন। আসুন রমজানের প্রথম দিনের জন্য ইবাদত সংক্রান্ত কিছু বিষয় জেনে নিই!
কোরআন থেকে : রমাদান আরবি শব্দ। এর অর্থ জ্বালিয়ে দেওয়া। এই মাসটি যেহেতু রোজাদারের পাপরাশিকে জ্বালিয়ে দেয় তাই এর নাম রমাদান। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! তোমাদের জন্য রোজার বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীদের দেওয়া হয়েছিল। যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পারো।’ -সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৩
হাদিস থেকে : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ইমান ও সওয়াবের আশায় রমজান মাসের রোজা পালন করবে, তার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। -সহিহ বুখারি
বিবিধ:
করব : সবার সঙ্গে কোমল আচরণ এবং মিষ্টি ভাষায় কথা বলা।
ছাড়ব : কটু কথা বলা এবং মানুষকে কষ্ট দেওয়া।
মাসআলা : রোজা রেখে ইনজেকশন পুশ করাতে কোনো সমস্যা নেই।
ভুল ধারণা : রোজা রেখে নখ কাটলে রোজা হালকা হয়ে যায়।
আমল : পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত। প্রতি নামাজের পর ৪ পৃষ্ঠা করে পড়লে সহজেই দিনে এক পারা তেলাওয়াত হয়ে যাবে।
সুসংবাদ : জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে, রোজাদার ছাড়া অন্য কেউ সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। – সহিহ বুখারি
দোয়া : ইফতারের সময় পড়তে হয়, ‘আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিজকিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।’
উপকারিতা : রোজার রাখার কারণে রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আসে। ফলে হৃদপিণ্ড ও রক্তনালির উপকার সাধন হয়।
ভয়েস/আআ