রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তীব্র সংঘাত ও লড়াই চলছে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির। অসংখ্য মর্টারশেল ও গ্রেনেড হামলা চালানো হচ্ছে। এতে লোকজনের ঘরবাড়ি ও নানা স্থাপনায় আগুন ধরে যায়। আগুনের লেলিহান শিখা আকাশে ছড়িয়ে পড়ে। টেকনাফ থেকেও তা দেখা গেছে। এতে আতঙ্কে আছেন টেকনাফ সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা।
শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে সীমান্তের ওপারে আগুনের কুণ্ডলী আকাশে ভাসতে দেখা গেছে।
টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর গত সোমবার রাত থেকে রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপের আশপাশের কয়েকটি গ্রামে বিমান হামলা চালাচ্ছে সরকারি বাহিনী। থেমে থেমে আসছে গোলার শব্দ। শুক্রবার রাতে ওপারের কয়েকটি স্থানে আগুনের কুণ্ডলী আকাশে ভাসতে দেখা যায়।
টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা মোহাম্মদ কাদের বলেন, রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও দেশটির বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। থেমে থেমে মর্টারশেল ও ভারী গোলার শব্দ ভেসে আসছে। মর্টারশেল ও গ্রেনেড হামলায় নানা স্থাপনা ধ্বংস হচ্ছে। আগুনে পুড়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি। এপার থেকে আগুনের কুণ্ডলী দেখা যাচ্ছে। আমরা আতঙ্কে আছি।
রাখাইনে তীব্র সংঘাত চলছে জানিয়ে টেকনাফের দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা আবুল আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আমরা সীমান্তের মানুষজন রাখাইন রাজ্য থেকে ভারী গোলা ও গ্রেনেডের বিকট শব্দ শুনেছি। এতে বোঝা যায়, ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। রাতে ওপারের কয়েকটি স্থানে আগুনের কুণ্ডলী আকাশে ভেসে ওঠে। গোলার শব্দ শোনা যায়। এতে এপারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মংডুর টাউনশিপের পাশে সুধাপাড়া, মগনিপাড়া, নলবনিয়া ও ফাদংছা এলাকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী। যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া হয় অসংখ্য মর্টারশেল ও গ্রেনেড-বোমা। তাতে লোকজনের ঘরবাড়ি ও নানা স্থাপনায় আগুন ধরে যায়। আগুনের লেলিহান শিখা আকাশে ছড়িয়ে পড়ে।
ওপারের এমন পরিস্থিতিতে নাফ নদ ও সীমান্ত এলাকায় টহল বৃদ্ধি করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা। সেই সঙ্গে সতর্ক অবস্থানে আছেন তারা।
এমনটি জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী। তিনি বলেন, আমাদের সীমান্তের বাসিন্দারা ওপার থেকে গোলার শব্দ পাওয়ার ও আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে আছেন। সীমান্তের বাসিন্দাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
ভয়েস/আআ/সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন