শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
আতিক আবদুর রাফি:
সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অন্যতম কর্মসূচি ‘পিলগ্রিম এক্সপেরিয়েন্স প্রোগ্রাম’-এর অংশ হিসেবে মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ বাস্তবায়ন শুরু করেছে সৌদি সরকার। মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে বাংলাদেশ, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক ও কোত দিভোয়ার, এই ৭টি দেশের ১১টি বিমানবন্দরে ডেডিকেটেড লাউঞ্জ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের লক্ষ্য হলো, এসব দেশ থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের জন্য উচ্চমানের পরিবহন পরিষেবা দেওয়া। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ কোত দিভোয়ারের ফেলিক্স হাউফোট-বোগনি আবিদজান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের সেবা প্রদান করতে মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভে অংশগ্রহণ করেছেন একদল সৌদি নারী। তারা হজযাত্রীদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানের মাধ্যমে নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে নিজেদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, বিশ্বব্যাপী হজযাত্রীদের সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে নারীদের প্রতিশ্রুতি একটি জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি এবং রাজ্যের স্থায়ী ধর্মীয় সম্মানকে প্রতিফলিত করে। সৌদি প্রেস এজেন্সির সংবাদকর্মীরা কোত দিভোয়ারের ফেলিক্স হাউফোট-বোগনি আবিদজান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের কার্যক্রমের খোঁজ নিতে যান। সেখানে সৌদি সার্জেন্ট আসমা আল হারবির সঙ্গে তাদের কথা বলার সুযোগ হয়। তিনি গভীর সম্মান অনুভব করেন যখন কোনো সোদি নাগরিক জাতির জন্য কাজ করে, বিশেষ করে হজযাত্রীদের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করে। সারা বিশ্ব থেকে মুসলমানদের হজে আসার সহজ পদ্ধতির বিষয়টি তুলে ধরে হজযাত্রীদের সেবা করার জন্য সৌদি সরকারের দায়িত্ব ও পদ্ধতির ওপর জোর দেন আসমা আল হারবি। মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ দলের একজন সদস্য হিসেবে আবিদজান বিমানবন্দরে নিয়োজিত আছেন করপোরাল ফায়জা আল আনসারি। হজযাত্রীদের সেবায় অংশগ্রহণ করতে পেরে তিনি দারুণভাবে আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। তিনি জানান, হজযাত্রীদের সেবা করতে পেরে মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের অন্য সদস্যরাও অত্যন্ত আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত ও গর্বিত। করপোরাল আরিজ আল খামাশ মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে হজযাত্রীদের প্রদত্ত পরিষেবার ওপর জোর দেন। যেন তারা নিজ দেশের বিমানবন্দর থেকে শুরু করে হজের পুরো সফর নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারে।
তিনি হজযাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উচ্চমানের সুযোগ সুবিধা প্রদানের বিষয়টি তুলে ধরেন।