শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
মাওলানা রফিকুল ইসলাম:
আল্লাহতায়ালা জিন ও মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। এ জন্য আল্লাহতায়ালা চিরন্তন জীবনব্যবস্থা হিসেবে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করেছেন। এর মাধ্যমে আমরা যেমন দুনিয়ার জীবনকে সুখ ও শান্তিময় করে গড়ে তুলতে পারি, তেমনি পরকালীন জীবনে মুক্তি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে সমর্থ হই। অতএব আমাদের জীবনের সব কার্যকারণ কোরআনের নির্দেশিত পথে চলে আল্লাহর পবিত্র বান্দা হয়ে নিজেদের চিহ্নিত করতে পারি।
যে মহৎ চরিত্র আমাদের জীবনকে করবে উন্নত, যে পবিত্র স্বভাব হবে আমাদের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, সেই চরিত্রের বিকাশ আমাদের মধ্যে আজ অনুপস্থিত। তাই পবিত্র কোরআন ও হাদিসের আলোকে জীবন গঠনের জন্য মানবিক গুণাবলি অর্জন করা আমাদের একান্ত কর্তব্য। এ দুনিয়ার জীবনে সফলকাম সেই ব্যক্তি, যার মধ্যে দৃঢ় সংকল্পতা, উচ্চাকাক্সক্ষা, ধৈর্য, সহনশীলতা, বীরত্ব, সাহস, ত্যাগের মহিমা, আত্মসংযম, ওয়াদা পালন, আনুগত্য, নিষ্ঠা, সৌজন্যবোধ, ভদ্রতা, সহানুভূতি, সহমর্মিতা, প্রতিবেশীর প্রতি কর্তব্যবোধ, এতিম, মিসকিন, দুস্থ, বিপন্ন, ছিন্নমূল, গরিব-দুঃখী, অসহায় মানুষের প্রতি মমত্ববোধ ও মানবিক দায়িত্ব পালনের মতো গুণাবলি বিদ্যমান।
এগুলোই কোরআনের শিক্ষা। যাকে ইসলাম সুন্দরতম আদর্শ বলে ঘোষণা করেছে। বিশ্বাসী মানুষের জন্য ইহকাল-পরকালের মুক্তির সনদ হলো পবিত্র কোরআন। কোরআনের শিক্ষা এবং রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে গ্রহণ করলেই আমাদের পার্থিব ও পারলৌকিক জীবন শান্তি ও কল্যাণকর হবে। কাজেই কোরআনের তেলাওয়াত, হেফজ এবং সে মতো আমল করায় রয়েছে অশেষ সওয়াব, নেয়ামত ও নাজাত।
ভয়েস/আআ