শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
আবু জাহরা:
রাগ দমন করা মহৎ গুণ। পবিত্র কোরআনে রাগ দমনকে মহান আল্লাহর ভালোবাসা ও সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম বলা হয়েছে। এই মর্মে পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, ‘যারা রাগ সংবরণকারী এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল তারা সৎর্কমশীলদের অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহতায়ালা সৎর্কমশীলদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান ১৩৪)
আয়াতে রাগ সংবরণ এবং মানুষকে ক্ষমা করার বিষয়টি পাশাপাশি বলা হয়েছে। এখানে লক্ষণীয় দিক হলো, মানুষ সাধারণত অন্য মানুষের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে কিংবা অন্য মানুষ দ্বারা তার ছোট ছোট অধিকার হরণের শিকার হয়ে রাগ করে থাকে। প্রথমে বিষয়টি ছোট আকারে শুরু হলেও রাগ দমন করতে না পারলে তা বৃহৎ আকার ধারণ করে। কিন্তু শুরুতেই যদি ছোট ছোট ভুল করা লোকদের ক্ষমা করে দেওয়া যায় কিংবা বিষয়টির মীমাংসা করে ফেলা হয় তাহলে তা বৃহৎ আকার ধারণ করে অরাজকতা সৃষ্টি হবে না। এ জন্যই আয়াতে রাগ সংবরণের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষমা করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই কোনো মানুষের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে রাগ করলে মহান আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের জন্য রাগ দমন করে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। এতেই কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
হাদিস শরিফে এসেছে, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! এমন একটি আমলের কথা বলুন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে। রাসুল (সা.) বললেন, তুমি রাগ প্রকাশ করবে না, এতে তোমার জন্য জান্নাত রয়েছে।’ (তবারানি)
মানুষের প্রতি মানুষের রাগ-ক্রোধ ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে নানা কলহ সৃষ্টি করে। তাই আসুন রাগ দমন করে ক্ষমাশীলতার চর্চা জোরদার করি। এতে মিলবে মহান আল্লাহর ভালোবাসা এবং দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা।
ভয়েস/আআ