বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন
আবরার নাঈম:
মানুষ মুখের দ্বারা যেসব অপরাধ করে তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অপরাধ হলো গিবত বা পরনিন্দা। গিবত একটি জঘন্য পাপ। এ ব্যাপারে কোরআনে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা একে অপরের গিবত করো না। তোমাদের কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করে? বস্তুত একে তোমরা ঘৃণাই করো।’
(সুরা হুজুরত, আয়াত ১২)
এখন প্রশ্ন হতে পারে গিবত কাকে বলে? কোন কথা গিবত আর কোন কথা গিবত নয়। তার যথাযথ উত্তর নবীজি (সা.) নিজেই দিয়েছেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি জানো গিবত কী? তারা বললেন, এ বিষয়ে আল্লাহ ও তার রাসুলই অধিক জ্ঞাত। তিনি বললেন, তোমার ভাই যে কথা অপছন্দ করে তার সম্পর্কে সে কথা বলার নাম গিবত। জিজ্ঞেস করা হলো, আমি যা বলছি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে? রাসুল (সা.) বললেন, তুমি যা বলছ তা যদি তার মধ্যে বিদ্যমান থাকে তবেই তুমি তার গিবত করলে। আর যদি না থাকে তাহলে তুমি তাকে অপবাদ দিলে। (সহিহুল জামে ৮৬)
গিবত ব্যভিচারের চেয়ে কঠিন অপরাধ। হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, গিবত ব্যভিচারের চেয়ে মারাত্মক অপরাধ। প্রশ্ন করা হলো কীভাবে? নবীজি (সা.) বললেন, কোনো ব্যক্তি ব্যভিচারের করে। এরপর সে তওবা করে। আল্লাহ তার তওবা কবুল করে নেন। আর গিবতকারীকে ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমা করা হয় না, যতক্ষণ না যার সম্পর্কে গিবত করা হয়েছে সে তাকে ক্ষমা করে। (আত তারগিব ওয়াত তারহিব ৪/১৩)
ভয়েস/আআ