সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ দেয়ায় পৌর মেয়রসহ ৫জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ দেওয়ার মাধ্যমে পাসপোর্ট তৈরি সংক্রান্ত একটি মামলায় পৌর মেয়র নাদের বখত ও কাউন্সিলরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

বুধবার মামলার নির্ধারিত তারিখে আদালতের বিচারক পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মামলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক আশেক সুজা মামুন।

যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তারা হলেন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র) হোসেন আহমদ রাসেল, পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারী পিযুষ কান্তি তালুকদার, পৌরসভার জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধক ও স্যানিটারি পরিদর্শক মো. সেলিম উদ্দিন, পৌরসভার মেয়র নাদের বখত ও সুনামগঞ্জ বারের আইনজীবী কাওসার আলম। তবে পাঁচজন মামলার এজহারভুক্ত আসামি নন। পুলিশ অভিযোগপত্রে তাদের নাম যুক্ত করেছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল সুনামগঞ্জ জেলা পাসপোর্ট কার্যালয়ে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে পাসপোর্ট করতে আসেন দুই রোহিঙ্গা। তারা টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চার ব্যক্তির সহযোগিতায় সুনামগঞ্জে আসেন। এই চার ব্যক্তি জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। ওই দিন সকালে পাসপোর্ট করতে গিয়ে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। বিকেলে আবার ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ দিতে পাসপোর্ট কার্যালয়ে গেলে কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে দুই রোহিঙ্গা ও তাদের সহযোগী চার ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেন পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

ওই দিনই প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার তেরানগর গ্রামের মো. ফরহাদ আহমদ (৩৬), রামনগর গ্রামের মো. নূর হোসেন (২৩), সুজাতপুর গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন (২৪) ও আমির উদ্দিনকে (২৩) আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার।

এর আগে ওই দুই রোহিঙ্গা সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলীপাড়া এলাকার বর্তমান বাসিন্দা হিসেবে স্থানীয় কাউন্সিলর হোসেন আহমদ রাসেলের সুপারিশে পৌরসভা থেকে জন্ম সনদ নিয়েছিলেন।

এই মামলায় গত ২১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এতে এজহারভুক্ত চার আসামি ছাড়াও অভিযুক্তদের তালিকায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া পাঁচজনের নাম যুক্ত করে।

সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি শুনেছি। তবে যে ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে, সে ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্তা নেই। যখন এসব সনদপত্র দেওয়া হয় তখন আমি ঢাকায় ছিলাম। তখন মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়াডের কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-১) হোসেন আহমদ রাসেল। তাই এই প্রক্রিয়ার কোনোভাবেই আমি যুক্ত নই।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION