সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চালের দাম চড়া। সরু ও মাঝারি চালের তুলনায় বেশি বেড়েছে মোটা চালের দাম। এই পরিস্থিতিতে খোলাবাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিশেষ করে রমজান মাসে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভারত ও মিয়ানমারের পর এবার ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকেও চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে আপাতত পেঁয়াজ আমদানি না করার সুপারিশ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি ও রমজানের প্রস্তুতি নিয়ে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভা থেকে এসব সিদ্ধান্ত এসেছে।
সভাসূত্র বলছে, গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যেমন-
সবচেয়ে জোর দেওয়া হয়েছে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ে।
চাল,পেঁয়াজ ও ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণের আনতে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
চালের মজুদ বাড়ানোর প্রক্রিয়া দ্রুততার করা হবে বলে বলা হয়।
এসব পণ্য দ্রুত আমদানির ওপরও জোর দেওয়া হয়।
বেশ কিছুদিন হলো এক কেজি মোটা চাল কিনতেই এখন খরচ করতে হচ্ছে ৪৮-৫২ টাকা। আরও একটু ভালো মানের চাল কিনতে হলে ভোক্তাকে গুণতে হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকা। মিনিটেক প্রতি কেজি ৬০-৬৫ টাকা, নাজিরশাইল প্রতি কেজি ৬৫-৭০ টাকা আর মাঝারি বিআর-২৮ কিনতে কেজিতে পড়ছে ৪৫-৪৮ টাকা।
সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশকে বিবেচনায় নিয়ে পেঁয়াজ আমদানি না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে বলা হয়,দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন দ্রুত বাড়ছে এবং কৃষকেরাও ভালো দাম পাচ্ছেন। এ সময়ে আমদানি হলে কৃষক ভালো দাম পাবেন না। ভালো দাম না পেলে আগামী বছর তাঁরা পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়াতে নিরুৎসাহিত হবেন।
অতি সম্প্রতি কেজিতেতে ১০ টাকা বেড়েছে দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। এক কেজি ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ কিনতে হলো ৫০ টাকায়। যদিও কিছু দোকানে ৪৫ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে। মাত্র সপ্তাহখানেক আগেও এই দাম ছিল ৪০ টাকা।
সভায় রোজা শুরু হওয়ার আগেই সড়ক মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। যানজট নিয়ন্ত্রণেও পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।সূত্র:অপরাজেয় বাংলা।
ভয়েস/জেইউ।