রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

মাদক দিয়ে যুবককে ফাঁসাতে গিয়ে অবরুদ্ধ এসআই

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
চরফ্যাসনের মাদ্রাজ ইউনিয়নে আল-আমিন নামে এক যুবককে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে জনতার হাতে অবরুদ্ধ হয়েছেন চরফ্যাসন থানায় কর্মরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমান। খবর পেয়ে চরফ্যাসন থানার ওসি মো. মনির হোসেন মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ ওই পুলিশ সদস্যসহ অপর সদস্যদের উদ্ধার করেন। শনিবার বিকালে চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের নতুন সুলিজ এলাকায় মৎস্যঘাটে এ ঘটনা ঘটে।

আল-আমিন জানান, নতুন সুলিজ মৎস্য ঘাটে শনিবার বিকালে তিনি তার বাবার মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আইমা ফিসে যান। ওই সময় চরফ্যাসন থানার উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আড়ৎ থেকে তাকে আটক করে হাতকড়া পরিয়ে থানায় আনার চেষ্টা করেন। এসময় তিনি তাকে আটকের কারণ জনাতে চাইলে তার সঙ্গে মাদক আছে বলে জানান পুলিশ সদস্য এসআই সিদ্দিকুর রহমান। এসময় তিনি কৌশলে তার প্যান্টের পকেটে মাদক দেয়ার চেষ্টা করেন। মাদক দেয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার বাবার মৎস্য আড়ৎ থেকে ৫ লাখ টাকা ও তার ব্যবহৃত ৬৪ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যান।

আল-আমিনের চাচা বাবুল মিয়া জানান, তার বাবার আড়তে হঠাৎ পুলিশ হানা দিয়ে সাথে মাদক আছে বলে আল-আমিনকে আটক করেন। কিন্তু স্থানীয়দের সামনে তল্লাশি করে সাথে কোন মাদক পাওয়া যায়নি। পরে তাকে ছেড়ে দিলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ওই সময় চরফ্যাসন থানার উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে চরফ্যাসন থানার ওসি মনির হোসেন মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে যান এবং তার পরিবারকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, প্রায় রাতেই চরফ্যাসন থানার উপ-পরিদর্শক সিদ্দিকুর রহমানসহ কিছু পুলিশ সদস্য ওই মৎস্য ঘাটে হানা দেন। সাধারণ ব্যবসায়ী ও জেলে যুবকদের মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেন। টাকা না পেলে আটক করে থানায় নিয়ে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করেন।
উপ-পরিদর্শক সিদ্দকুর রহমান মাদক দিয়ে ফাঁসানো অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে তিনি জানান, ওই যুবকের কাছে মাদক আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করলে স্থানীয়রা তাকে ছিনিয়ে নেয়। এজন্য তল্লাশি করতে পারিনি। বিক্ষুব্ধ জনতা ঘিরে ধরলে পরিস্থিতি খারাপ দেখে আমরা চলে আসি।

চরফ্যাসন থানার ওসি মো. মনির হোসেন মিয়া জানান, ওই যুবকের কাছে মাদক আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশ মাদক অভিযানে যায়। স্থানীয়রা পুলিশকে ঘিরে ফেললে ওই যুবক আল-আমিন তার সাথে থাকা মাদক ফেলে দেয়। এজন্যই তার কাছে কোন মাদক পাওয়া যায়নি। সূত্র:মানবজমিন।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION