রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

মজুতদার ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমেনি, চালে আসছেনা স্বস্তি

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

চালের বাজারে অবৈধ মজুতদার ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমেনি। বেশি দামে বিক্রির জন্য মোটা চাল মেশিনে কেটে চিকন করে বাজারে তৈরি করা হচ্ছে কৃত্রিম সঙ্কট। অন্যদিকে, আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েও চালের বাজার নিয়ে থামানো যাচ্ছে না চালবাজি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখনও চালের বাজার ঘিরে উত্তাপ বেশ। কমপক্ষে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করতে যাচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। শুল্কও কমানো হয়েছে। তারপরও চিকন চালের দাম সব শ্রেণির নাগালের বাইরে। কদিন আগে যে মোটা চাল ছিল ৫০ টাকা, সেটা এখন ৫২ থেকে ৫৫ টাকা।

রাজধানীর বাদামতলী-বাবুবাজারের চালের পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোরবানি ঈদের আগে একদফা দাম বেড়েছিল। ঈদের পরও বেড়েছে। ৫০ কেজির বস্তায় ১৫০ টাকা এবং ২৫ কেজির বস্তায় ৮০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

এদিকে আমদানি করা চালের ওপর ৩৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কাস্টম ডিউটি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। পাশাপাশি রেগুলেটরি ডিউটি তথা আবগারি শুল্ক ২৫ শতাংশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।

চালকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অটো, মেজর ও হাসকিং মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লায়েক আলী আবারও জানিয়েছেন, ‘মিলগেটে দাম বাড়েনি। ব্যবসায়ীদের ভাউচার দেখলেই সত্য বেরিয়ে আসবে। ধানের দাম কম, মিলেও চালের দাম স্থিতিশীল। মূলত দাম বাড়ছে হাতবদলের কারণে। তা নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই। এখন আমদানির চাল বাজারে এলে দাম এমনিতেই কমবে।’

একই কথা বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারও। গতবছরও ‘আমদানি হলে দাম কমবে’ বলেছিলেন। আমদানি করা চাল গতবছর এসেছিল। আবার গত জুনেই ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত ছিল।

খাদ্যমন্ত্রী গতবছর বলেছিলেন, চাল নিয়ে কেউ কারসাজি করলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত কারও লাইসেন্স বাতিল হয়নি। মন্ত্রী গত সোমবার (১৬ আগস্ট) আবারও সাংবাদিকদের বলেলেন, নিয়ম না মানা মিল মালিকদের মিলিং লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

কৃষি অধিদফতরের তথ্যমতে, এক দশক আগেও দেশে চালের উৎপাদন ছিল তিন কোটি ৩৫ লাখ টন। এখন (২০১৯-২০ অর্থবছর) তিন কোটি ৮৭ লাখ টন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের পর থেকে প্রতি বছর চালের উৎপাদন প্রায় ১০ থেকে ১২ লাখ টন করে বেড়েছে। গতবছর সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ১২ লাখ টন চাল আমদানিও করা হয়েছে। এবছরও ১০ লাখ টন আসতে যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী জানালেন, মিল মালিকদের কেউ কেউ আছেন, তাদের টাকা বেশি। তারা মজুত করে। সেই চাল মিলে রাখে না। গোপন কোথাও মজুত করে। সেটা আমরা ধরার চেষ্টা করছি। গোয়েন্দা সংস্থাকে চিঠিও দিয়েছি। আবার দেশে কিছু বড় কোম্পানি আছে তারা বাজার থেকে চাল নিয়ে প্যাকেটজাত করছে। এতেও সরু চালের ওপর প্রভাব পড়ছে। এসব নিয়ে করণীয় নির্ধারণের চিন্তাভাবনা চলছে।’

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যানুযায়ী, এক দশক আগে (২০১০-১১ অর্থবছর) প্রতি কেজি (মাঝারি মানের) চালের গড় দাম ছিল ৪১ টাকা, যা এখন ৬০ টাকা হয়েছে। গত অর্থবছরও (২০১৯-২০) প্রতি কেজি চালের গড় দাম ছিল ৫৬ টাকা। সুত্র: বাংলাট্রিবিউন।

ভয়েস/ জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION