বুধবার, ০৯ Jul ২০২৫, ০৮:২১ অপরাহ্ন
ভয়েস প্রতিবেদক:
উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) এর চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ কিলিং মিশনে অংশ নেয়া গ্রেপ্তার তিনজনকে ২ দিন করে রিমান্ড মন্জুর করেছেন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিনের আদালত। এর আগে সোমবার উখিয়া থানা পুলিশ আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২৬অক্টোবর) দুপুর ১২টারদিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিনের আদালত এ রিমান্ড শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার ওসি তদন্ত গাজী সালাউদ্দিন সত্যতা নিশ্চিত করে জানান<span;>, গেল শনিবার ভোরে এপিবিএন মুহিবুল্লাহ কিলিং স্কোয়াডের সদস্যসহ চারজনকে আটক করে। সেখান থেকে কিলিং স্কোয়াডের টপ ৫ এর একজন আজিজুল হক হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর তিনজন কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ডি ৮ ব্লকের আব্দুল মাবুদের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিন, একই ক্যাম্পের বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাছ ও নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদ। যাদের সোমবার আদালতে ৫ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে আজ মঙ্গলবার রিমান্ড আবেদন শুনানি শেষে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিনের আদালত ২ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (ডি ব্লকে) নিজ অফিসে অবস্থান করছিলেন মুহিবুল্লাহ। এসময় বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে তাকে। এখন পর্যন্ত এ হত্যা মামলায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তার মধ্যে মোহাম্মদ ইলিয়াছ নামে একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মুহিবুল্লার মূল উত্থান হয় ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা আগমনের বর্ষপূর্তিতে। ওই দিন তিনি লাখো রোহিঙ্গার সমাবেশ ঘটিয়ে আলোচনার তুঙ্গে এনেছিলেন নিজেকে। সেদিন তার নেতৃত্বে ছিলো ৩ থেকে ৫ লাখ রোহিঙ্গার মহাসমাবেশ।
এরপর তিনি উখিয়া-টেকনাফের ৩৪ রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়েছিলেন। রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে দক্ষ মুহিবুল্লাহ ধীরে ধীরে প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠেন।
ভয়েস/আআ