রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

‘আমরা কাউকে বলতে যাইনি আমাকে এখনই সদস্য করেন’

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

এখনই ব্রিকস-এর সদস্যপদ পেতে হবে এমন কোনও চিন্তা বাংলাদেশের ছিল না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এখনই সদস্য পদ পেতে হবে সেই ধরনের কোনও চিন্তা আমাদের মাথায় ছিলও না। সেই ধরনের চেষ্টাও আমরা করিনি। চাইলে পাবো না সেই অবস্থাটা নাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা কাউকে বলতে যাইনি আমাকে এখনই সদস্য করেন। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকা সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সদস্যপদ চাইলে পাবো না সেই অবস্থাটা নাই। প্রত্যেকটা কাজের একটা নিয়ম থাকে। আমরা সেই নিয়ম মেনেই চলি। আমার সঙ্গে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ হলো, আমাকে আমন্ত্রণ জানালেন ব্রিকস সম্মেলন করবেন। আমাকে আসতে বললেন। এবং তখন আমাকে এও জানালেন তারা কিছু সদস্যপদ বাড়াবেনও। সেই বিষয়ে আমার মতামতও জানতে চাইলেন। আমি বললাম এটা খুবই ভালো হবে। ব্রিকস যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন এই পাঁচটি দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ সব সময় ছিল এবং আছে। সেই সময় এটা নিয়ে আলোচনা হলো পর্যন্ত।

ব্রিকসের ব্যাংক নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে যোগদানের বিষয়ে বাংলাদেশ আগে থেকেই আগ্রহী ছিল উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আমরা যখন শুনলাম নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক হবে, আমাদের ওটার ওপর বেশি আগ্রহটা ছিল। যখন থেকে তৈরি হয়, তখন থেকেই এই আগ্রহটা ছিল এর সঙ্গে যুক্ত হবো। ব্রিকসের সদস্য পদের ক্ষেত্রে তখন প্রেসিডেন্ট আমাকে বললেন ধাপে ধাপে নেবেন। ভৌগোলিক অবস্থানটা বিবেচনা করে নেবেন। পর্যায়ক্রমে সদস্য সংখ্যা বাড়াবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, হ্যাঁ নিলে আমরা খুব খুশি। তবে আমরা খুব ওইভাবে ব্রিকস-এর এখনই সদস্যপদ পাবো, প্রথমবারেই যেয়েই সদস্য পদ পাবো, সেই ধরনের কোনও চিন্তা আমাদের মাথায় ছিলও না। সেই ধরনের চেষ্টাও আমরা করিনি। সেইভাবে কাউকে বলিনিওনি। সেখানে তো আমার সব রাষ্ট্রপ্রধান সরকার প্রধানের সঙ্গে দেখা হয়েছে। কথা হয়েছে। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট, ইন্ডিয়ার প্রাইমমিনিস্টার থেকে শুরু করে সবার সঙ্গে। আমরা কাউকে বলতে যাইনি আমাকে এখনই সদস্য করেন। তখন থেকে আমরা জানি যে প্রথমে কয়েকজনকে নেবে। লাঞ্চের সময় ব্রাজিল ও সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ও নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও জাতিসংঘের মহাসচিব, ওই সময় আলোচনা হয় যে, আমরা এই কয়জন নেবো। এরপর ধাপে ধাপে সদস্য পদ বাড়াবে।

ব্রিকস নিয়ে বিরোধী দলের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, জানি যে এই প্রশ্নটা আসবে। আমাদের অপজিশন থেকে হুতাশ যে আমরা পাইনি। বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না এটা কিন্তু ঠিক নয়। অন্তত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা মার্যাদাটা তুলে ধরেছি। সেখানে আমাদের সেই সুযোগটা আছে। তারা বলতে পারে কারণ বিএনপির আমলে ওটাই ছিল। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের কোনও অবস্থানই ছিল না। বাংলাদেশ মানে ছিল দুর্ভিক্ষের দেশ, ঝড়ের দেশ, ভিক্ষার দেশ। হাত পেতে চলার দেশ। এখন সবাই জানে, বাংলাদেশ ভিক্ষা চাওয়ার দেশ নয়।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION