রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিবেন নির্বাচনকালে কত মন্ত্রীর প্রয়োজন : আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক (ফাইল ছবি)

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সংবিধানে কোথাও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কিছু বলা নেই। এটা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন, নির্বাচনকালে তার কতজন মন্ত্রী প্রয়োজন, কতজন না। তার যদি সবার প্রয়োজন থাকে, তাহলে সবাই থাকবে। তিনি যদি মনে করেন, তিনি ছোট আকার চান, তাহলে সেটাও করতে পারেন। এটা তার ডিসক্রিয়েশন, সংবিধান তাকে সেই ক্ষমতা দিয়েছে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অক্টোবরে সংসদের শেষ অধিবেশন, সেখানে কী হবে, এ প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, সংসদে আইন পাসের পাশাপাশি সব কিছু নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

শ্রম আইন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা শ্রম আইনে কিছু পরিবর্তন এনেছি। আমাদের সঙ্গে আইএলও’র আলোচনা হয়েছে। তাদের কিছু বক্তব্য ছিল। সেই বক্তব্য নিয়ে এসেছিল আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর। আমরা সেগুলো শুনেছি এবং কিছু কিছু বিষয়ে সমাধান করে ফেলেছি। যেটার ক্লারিফিকেশন দেওয়া দরকার সেটা দিয়েছি। যেসব বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে হয়েছে। সেগুলো আমরা আগামী ২২ অক্টোবর বেলা ১১টায় আবার বসে আলোচনা করব। তখন তাদের গুরুত্বপূর্ণ জিজ্ঞাসা নিয়ে বাকি বিষয়গুলোর সমাধান আসবে।

তিনি বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন নিয়ে আলাপ হয়েছে। গ্রুপ অব কোম্পানিজ ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে তখন ৩০ শতাংশ শ্রমিকের স্বাক্ষর লাগতো। সেটিকে সংশোধন করে ২০ শতাংশ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এটা কমানো হবে বলে আইএলওর কাছে আমাদের অঙ্গীকার ছিল।

আনিসুল হক আরও বলেন, আগে প্রতিষ্ঠিত কোনো কোম্পানি পরিচালনার জন্য তিন হাজারের বেশি প্রয়োজন হলে সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন করতে ২০ শতাংশ শ্রমিকের একমত প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আমরা সেটাও কমিয়ে ১৫ শতাংশ করেছি। এ বিষয়টা সম্ভবত আগামী রোববারে আলোচনা হবে না। এছাড়া কিছু ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। মূল কথা হচ্ছে তারা- শ্রমিকদের স্ট্রাইক করার ক্ষমতা এবং লেবার কোর্টের ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছেন। তারা আমাদের বেশিরভাগ সংশোধনীতে খুশি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বা আইএলও’র মানদণ্ড অনুযায়ী করার পরামর্শ দিয়েছেন।

বৈঠকে অংশ নেন আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টোমো পোতিয়েইনেন, আইএলওর প্রোগ্রাম ম্যানেজার নিরান রামজুথান, আইএলওর প্রোজেক্ট টেকনিক্যাল অফিসার চায়ানিক থামপারিপাট্রা, আইএলওর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মো. সাইদুল ইসলাম, আইএলওর প্রোগ্রাম অফিসার চৌধুরী আলবাব কাদির।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION