রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৩ পূর্বাহ্ন
মো. আব্দুল ওহাব:
আল্লাহতায়ালা অতীব দয়ালু ও মেহেরবান। তিনি উম্মতে মোহাম্মদিকে অনেক সুযোগ দিয়েছেন আখেরাতে মুক্তিলাভের জন্য। এমনই একটি সুযোগ হলো নিয়মিত সুরা মুলক তেলাওয়াত করা। এটি কোরআনে কারিমের ৬৭তম সুরা। আয়াত সংখ্যা ৩০। রুকু সংখ্যা ২। সুরাটি পবিত্র নগরী মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।
সুরা মুলক তেলাওয়াতের অনেক ফজিলত রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত হলো সুরা মুলক কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে তার তেলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে। যেমন হাদিসে এসেছে, হজরত আমর ইবন মারযুক (রহ.) বর্ণনা করেন, সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, কোরআন মাজিদের ত্রিশটি আয়াত বিশিষ্ট সুরা তাবারাকাল্লাজি (সুরা আল মুলক) তেলাওয়াতকারীর জন্য সুপারিশ করবে। এমনকি তাকে মাফ করে দেওয়া হবে (যে ব্যক্তি সুরা তাবারাকাল্লাজি তেলাওয়াত করবে, এটা তার জন্য সুপারিশকারী হবে)। সুনানে আবু দাউদ : ১৪০০
শুধু সুপারিশই নয় বরং তার তেলাওয়াতকারীকে হাশরের মাঠে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আল্লাহর সঙ্গে ঝগড়া (ওকালতি) করবে। একবার হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) এক ব্যক্তিকে বললেন, আমি কি তোমাকে এমন একটি হাদিস শোনাব, যা শুনে তুমি খুশি হবে? উত্তরে সে বলল, হ্যাঁ শোনান।
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, তুমি নিজে সুরা মুলক পড়ো এবং পরিবারের সবাইকে ও প্রতিবেশীকে তা শিক্ষা দাও। কারণ এটি মুক্তিদানকারী ও ঝগড়াকারী। কিয়ামতের দিন আল্লাহর সঙ্গে ঝগড়া করে তার পাঠকারীকে সে জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা করবে এবং কবরের আজাব থেকে বাঁচিয়ে রাখবে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার একান্ত কামনা যে, এই সুরাটি আমার প্রত্যেক উম্মতের অন্তরে গেঁথে (মুখস্থ) থাকুক। ইবনে কাসির
কিয়ামতের মাঠে মানুষজন একটা সওয়াব ও শাফায়াতের (সুপারিশ) জন্য এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছোটাছুটি করতে থাকবে। সেই বিভীষিকাময় অবস্থায় যদি আমরা সুরা মুলককে সুপারিশকারী হিসেবে পাই তাহলে কতই না ভালো হবে!
ভয়েস/আআ