শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
ধর্ম ডেস্ক:
ধর্মীয় বিষয়ে সচেতনতা আত্মীয়তার অধিকার
জাগতিক কল্যাণের পাশাপাশি আত্মীয়দের পরকালীন কল্যাণের ব্যাপারেও আমাদের ভাবতে হবে। তাদের ধর্মীয় বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক করা আত্মীয়তার অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। কেননা আল্লাহ বলেছেন, ‘হে মুমিনরা, তোমরা নিজেদের এবং পরিবার-পরিজনকে রক্ষা করো জাহান্নামের আগুন থেকে, যার জ্বালানি হবে মানুষ ও পাথর।’ সুরা তাহরিম : ৬
আত্মীয়তা বজায় রাখার পুরস্কার
আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা, তাদের খোঁজখবর রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ কাজ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তার বান্দাদের আত্মীয়তার সম্পর্কের ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা সতর্ক থাকো রক্তসম্পর্কিত আত্মীয়দের ব্যাপারে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের পর্যবেক্ষক।’ সুরা নিসা : ১
আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্কের পুরস্কার মহান আল্লাহ দুনিয়াতেও দেন। তা হলো রিজিকের প্রশস্ততা। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি শুনেছি, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি পছন্দ করে যে, তার জীবিকা বৃদ্ধি হোক অথবা তার মৃত্যুর পরে সুনাম থাকুক, তবে সে যেন আত্মীয়ের সঙ্গে সদাচরণ করে। সহিহ বোখারি : ২০৬৭
আত্মীয়তা ছিন্নকারী উভয় জগতে শাস্তিযোগ্য
আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা একটি ইবাদত। যারা এ সম্পর্ক রক্ষা করে চলে না তাদের অন্যান্য আমল-ইবাদত যথার্থ হলেও তারা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তি জান্নাতে যাবে না। অভ্যস্ত মদ্যপায়ী, আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্নকারী ও জাদুতে বিশ্বাসী।’ মুসনাদে আহমদ : ১৯৫৮৭
কেবল পরকালীন শাস্তি নয়, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীরা জাগতিক শাস্তিরও সম্মুখীন হয়। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো গোনাহের কারণে যদি আখিরাতের শাস্তির পাশাপাশি দুনিয়াতেও শাস্তি ত্বরান্বিত হয় তবে জুলুম ও আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে বেশি উপযুক্ত অন্য কোনো গোনাহ নেই।’ মুসনাদে আহমাদ : ২০৩৯৮
ভয়েস/আআ