রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:২৬ অপরাহ্ন
মহেশখালী প্রতিনিধি
কক্সবাজার জেলার অন্যতম উপজেলা মহেশখালী, বিখ্যাত পর্যটন এলাকা হিসেবে পরিচিত। এখানে অফুরন্ত প্রাকৃতিক সম্পদ থাকলেও অভাব রয়েছে শিক্ষার। মহেশখালীতে বসবাসকারীদের আয়ের প্রধান উৎস হলো পান চাষ, লবণ চাষ, এবং সাগর থেকে মাছ ধরা।
এত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও এখানকার জনগণ বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় এখনো পিছিয়ে রয়েছে।
বিশেষ করে শিক্ষার দিক থেকে মহেশখালী বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার মত অগ্রসর হতে পারেনি। এখনও মহেশখালীতে শিশু শ্রম, বাল্য বিবাহ, মাদকাসক্তি ও মাদক পাচারের মতো ঘটনাগুলো অহরহ ঘটছে।
নানান প্রতিকুলতা পারিবারের আর্থিক সংকটে শিক্ষার পরিবেশ থেকে ঝড়ে পড়া এক ঝাক শিশু নতুন ভাবে অগ্রযাত্রার স্কুলে ভর্তি হয়ে দেখছে নতুন নতুন স্বপ্ন।
পরিদর্শনকালে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীকি মারমা’কে জানান মহেশখালীতে অগ্রযাত্রার অগ্রণী ভূমিকায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন দেখছে ডাক্তার আর শিক্ষক হওয়ার।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে এসডিজির লক্ষ্য অর্জনকে সামনে রেখে সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা সমূহ যুগপৎ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে পূরণ করার লক্ষেই মহেশখালীতে শিশুদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ১ এপ্রিল ২০২৩ থেকে সরকারের পাশাপাশি আর্নহোল্ড ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন (Arnhold Family Foundation) এর অর্থায়নে ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (IRC) কারিগরি সহযোগিতায় বেসরকারি সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ‘অগ্রযাত্রা’ মহেশখালী উপজেলায় উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম ‘লাস্ট মাইল এডুকেশন (LME) প্রজেক্ট’ বাস্তবায়ন করছে।
উক্ত প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে ঝরে পড়া শিশুদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলা।
ভয়েস/জেইউ।