শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

৭লাখ পিস ইয়াবা ও বিলাসবহুল গাড়ী সহ টেকনাফের আব্দুল আমিন ও আব্দুল্লাহসহ গ্রেপ্তার ৪

ভয়েস প্রতিবেদক:

মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবার বিশাল চালান নিয়ে বিলাসবহুল পাজেরো জিপে করে দেশে পাচার করতে গিয়ে র্যাবের হাতে ধরা পড়েছে ৭ লাখ ইয়াবা সহ ৪ ইয়াবা কারবারি। এদের মধ্যে রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর হাতে আত্মসমর্পণ করা আত্মস্বীকৃত একজন ইয়াবা কারবারি।

গতকাল রবিবার কক্সবাজারের উখিয়ার পাটুয়ারটেক বিচ এলাকার মেরিন ড্রাইভ রোডে র্যাব ২৫ এর একটি টিম অভিযান চালিয়ে পাজেরো জিপ ও ইয়াবা সহ এই চার মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করেছে।

আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান র্যাব ১৫ এর উপ অধিনায়ক মেজর শরীফুল আহসান।

গ্রেফতারকৃতরা হলো আত্মসমর্পণ করা আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারি টেকনাফ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল আমিন (৪০)

আবু ছৈয়দের পুত্র মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, (৩৪)মৃত আবুল কাশেমের পুত্র নুরুল আবছার(২৮) এবং মৃত দিল মোহাম্মদের পুত্র জাফর আলম (২৬)। গ্রেপ্তারকৃতরা সকলেই টেকনাফ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

প্রেস ব্রিফিংয়ে মেজর শরীফুল আহসান জানান মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবার বিশাল একটি চালান কক্সবাজার হয়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় পাচার হওয়ার একটি গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে গতকাল রবিবার রাতে র্যাবের একটি টিম টেকনাফ কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোডের উখিয়া পাটোয়ারটেক এলাকায় অবস্থান নেয়। এসময় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টিকার ও নম্বর যুক্ত বিলাসবহুল পাজেরো জিপ মেরিন ড্রাইভ রোড অতিক্রম করলে র্যাব টিম পাজেরো জিপটি আটক করে। পরে পাজেরো জিপের আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে জীপে ইয়াবার চালান রয়েছে। এসময় গাড়ির পেছনে তল্লাশি চালিয়ে ৭ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আব্দুল্লাহ জানান মিয়ানমারের রাখাইনে অবস্থান করা ইয়াবা কারবারি বার্মাইয়া সিরাজের মাধ্যমে এই ইয়াবার চালানটি সীমান্ত এলাকা থেকে তারা কিনে নিয়ে আসছিলো।

প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরো জানান গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল আমিন ইয়াবা কারবারের একজন গডফাদার। জীবনে আর কোন ধরনের মাদক কারবারে জড়িত হবেনা এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৭ বছর আগে টেকনাফে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মাদকের সহ ১১ টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া গ্রেফতার আব্দুল্লাহ মিয়ানমার থেকে গরু পাচার চক্রের একজন সিন্ডিকেটের প্রধান এবং ইয়াবার বড়ো কারবারি। জব্দ করা বিলাসবহুল পাজেরো জিপটি আব্দুল্লাহর পিতা আবু ছৈয়দের নামে রেজিষ্ট্রেশন করা। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেন তিনি।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION