রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতা কাটবে!

ড. আলা উদ্দিন:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শহর থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে। পাহাড়ঘেরা পরিবেশে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের এই সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ভৌগোলিক কারণে ও শহর থেকে দূরবর্তী অবস্থানের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা অর্জনের ক্ষেত্রে অনেকগুলো সীমাবদ্ধতা লক্ষ করা যায়। যেগুলো যথাযথভাবে মনোযোগ পেলে এতদিনে সমাধাযোগ্য ছিল। ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থানের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, এই সমস্যাটি সঠিক উদ্যোগের অভাবে সমাধান হয়নি। ফলে ২০ কিলোমিটার দূরের বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত ২০০ কিলোমিটার দূরের এবং ৫০ বছর আগের প্রতিষ্ঠানে পর্যবসিত হয়েছে। ৬ দশকের কোটায় পৌঁছে গেলেও এই অন্যতম পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই কোনো টিএসসি। শহরে আগে একটি অস্থায়ী ঠিকানা ছিল। শিক্ষকরা সমবেত হতেন, চিকিৎসা কেন্দ্র ছিল এবং বাইরের শিক্ষকরা পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে এলে রাত কাটাতেন। বেশ কয়েক বছর হলো এর কোনোটি আজ আর নেই। অথচ শিক্ষকরা প্রতি মাসে শহর ক্লাবের জন্য চাঁদা দিয়ে আসছেন। কর্র্তৃপক্ষের দায়সারা গোছের উদ্যোগের কথা মাঝে মাঝে শোনা যায়, সমস্যার সমাধান দৃশ্যমান হয় না। যথাযথভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করলে ৬০ বছরের এই অঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শহরে কোনো জায়গা থাকবে না, ভাবাই যায় না। দুই মাসের পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি শহরে ঠিকানা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন নয়; বোধগম্য নয়।

দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হলেও, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বাস্তবতা ভিন্ন, কিছুটা রূঢ়। শিক্ষকদের জন্য অনেক দেনদরবার করার পর এসি বাস চালু করা হলেও দূরত্ব কিন্তু মোটেও কমেনি। শিক্ষকদের জন্য সাম্প্রতিক সময়ে এসি বাস সেবা চালু করা হলেও তা অপ্রতুল এবং সবসময় ও সব রুটে প্রদান করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ব্যবস্থার দুর্দশার কথা ভুক্তভোগীরাই কেবল অনুধাবন করতে পারেন। সাম্প্রতিক সময়ে নিরাপত্তাহীনতাও বেড়েছে। শহর থেকে ক্যাম্পাসের পথে নানা স্থানে শিক্ষকদের অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। গরম, ধুলাবালি আর বৃষ্টির মধ্যে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হলেও, মূল অসুবিধা হলো কোথাও শিক্ষকদের দাঁড়িয়ে অপেক্ষার জন্য যাত্রীছাউনি বা এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে কোথাও কোনো দোকানের সামনে দোকানের ক্রেতা, রিকশা-বাস-ট্রাক ও সিএনজি ইত্যাদির সঙ্গে এদিক-সেদিক করে ১০-৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয় (যেমন, পাবলিক স্কুল মোড়)। অপেক্ষা করতে করতে শিক্ষকরা দেখেন শত শত দামি দামি গাড়ি তাদের সামনে দিয়ে শোঁ শোঁ করে পার হয়ে যাচ্ছে, আর তাদের গা থেকে ঘাম ঝরছে কিংবা বৃষ্টিতে ছাতার নিচে কোনোমতে নিজেদের সম্মান রক্ষা করার সংগ্রামে লিপ্ত। তাছাড়া বাসে ওঠা বা নামার সময় পেছনের দিকে যাওয়া বা পেছনের দিক থেকে সামনের দিকে আসার জন্য ‘এক্সকিউজ মি’ বলতে বলতে এগুতে হয়; ‘এক্সকিউজ মি’ বললেও যারা সিটে বসে আছেন তাদের পক্ষে ‘এক্সকিউজ’ করার উপায় নেই, গা এদিক-সেদিক করার সুযোগ খুবই সীমিত।

ক্যাম্পাসে অবস্থান একটা সমাধান হতে পারত কিন্তু ক্যাম্পাসে থাকার মতো উপযুক্ত আবাসন ব্যবস্থা নেই; যা আছে তা মানসম্মত নয়। তাছাড়া ক্যাম্পাস এখন আর আগের মতো সেই ক্যাম্পাস নেই। এখন ক্যাম্পাসের আশপাশে বাণিজ্যিক ও আবাসিক ভবন গড়ে ওঠায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এমন বহু মানুষের অবস্থান রয়েছে ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের আশপাশে। ক্যাম্পাসে থাকার অন্য অনেক সীমাবদ্ধতাও রয়েছে; যেমন শিক্ষকদের জন্য বাজার, চিকিৎসা, শপিং, এবং বিশেষ করে তাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য ভালো স্কুল-কলেজের অভাব। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও তাদের সন্তানদের এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করতে আগ্রহ পান না। ফলে শিক্ষকদের মতো তাদের অনেকেই এখন আর ক্যাম্পাসে থাকতে চান না। তাছাড়া রাজনৈতিক কর্মকান্ড, রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অবাধ আনাগোনা, বেপরোয়া চলাফেরা, মোটরবাইকের মহড়া, অনিরাপত্তা ইত্যাদি নানা কারণে শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে থাকতে আগ্রহী নন। অথচ ক্যাম্পাসে থাকলে তাদের সময়ঘণ্টা বাঁচত, তারা বিভাগে বেশি সময় দিতে পারতেন, ক্লাস ও গবেষণায় মনোনিবেশ করতে পারতেন। অথচ শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, আনন্দদায়ক ও স্বাছন্দ্যময় করা না গেলে ক্যাম্পাসের সর্বোচ্চ সুবিধা অধরাই থেকে যাবে। এর ফলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষক, সমাজ ও রাষ্ট্র। ক্যাম্পাসে ব্যাচেলর শিক্ষকদের জন্য একটি বিপদসঙ্কুল ডরমিটরি রয়েছে, কিন্তু এটি কোনোভাবেই মানব বসবাসের উপযোগী নয়। তথাপি শিক্ষকদের সেখানে থাকতে হচ্ছে, বিশেষ করে যাদের বাড়ি চট্টগ্রামের বাইরে এবং যারা অবিবাহিত। এই ব্যাচেলর ডরমিটরির অবস্থাই কার্যত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক চিত্র প্রতিফলিত। নারী শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন হলের সামনে কিছু আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে, নিরাপত্তাসহ সেগুলোর উন্নীতকরণও বিশেষভাবে প্রয়োজন। শাটল ট্রেনের সীমাবদ্ধতার কথা আগে লিখেছি। বাইরে থেকে অনেক দৃষ্টিনন্দন মনে হলেও, শিক্ষার্থীদের অনেক যন্ত্রণা সহ্য করে এই ট্রেনে ভ্রমণ করতে হয়। প্রশাসনের যথাযথ উদ্যোগের অভাবে তা শিক্ষার্থী ও শিক্ষাবান্ধব হয়ে উঠতে পারছে না। বাদুড় ঝোলা হয়ে প্রতিদিন ধুলাবালি, গরম, ইত্যাদির মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের দাঁড়িয়ে ক্যাম্পাসে যাওয়া-আসা এই সময়ে বড্ড বেমানান। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে ঢাকার মতো মনোরেলের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। অক্সিজেন পর্যন্ত এর স্টপেজ থাকবে বলে জানা গেছে। যদি তাই হয়, অক্সিজেনের পর যদি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কেও মনোরেলের আওতায় আনা যায় তাহলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদের যাতায়াত নির্বিঘœ হবে। এমতাবস্থায় মনোরেল সম্প্রসারণ সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হতে পারে। নতুন করে সুযোগ-সুবিধা যোগ করার বদলে বেশ কিছু সুযোগ হারিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। যেমন আগে সারা দিন আন্তঃক্যাম্পাস শাটল বাস সেবা ছিল ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীরা হল থেকে বিভাগ, লাইব্রেরি, স্টেশন যাতায়াত করতে পারতেন বিনা খরচে। ১৯৯৭-৯৮ এর দিকে এই আন্তঃক্যাম্পাস শাটল বাস সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় খরচ কমানোর নামে। বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ কমুক বা না কমুক, শিক্ষার্থীদের খরচ ও ভোগান্তি দুটোই বেড়েছে সন্দেহ নেই। এখন শিক্ষার্থীদের রিকশা ভাড়া গুনতে হয় ২০-৩০ টাকা করে, যাওয়া-আসা মিলিয়ে ৫০-৬০ টাকা। যাদের সামর্থ্য নেই, তারা হেঁটেই সময় পার করেন। বিভাজন প্রদর্শনের আরও একটি ক্ষেত্র হলো উন্মোচিত। আগে হলগুলোতে ফ্যাকাল্টি নির্দিষ্ট করা থাকত না; যে কোনো হলে যে কোনো বিভাগের শিক্ষার্থী থাকতে পারতেন। ১৯৯৮-৯৯ সাল থেকে হলগুলোকে, বিশেষ করে ছাত্রদের হলগুলোকে ফ্যাকাল্টি ভিত্তিক করা হয়েছে। এর ফলে প্রশাসনের কী লাভ হয়েছে কেউ জানে না। তবে আগে একই হলে বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি ও বিভাগের শিক্ষার্থীদের বসবাসের ফলে যে আন্তঃশাস্ত্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি বোধ ও শিক্ষার সুযোগ ছিল, সেটা রুদ্ধ হয়েছে। এগুলো পুনরায় উন্মুক্ত করা প্রয়োজন। তাছাড়া হলগুলোতে (বিশেষ করে ছাত্রীদের) পানি, খাবারের মান ইত্যাদি প্রকট সমস্যা। কিছুদিন পর পর তাদের আন্দোলন করতে হয়। এগুলোর স্থায়ী সমাধান দরকার।

অনেকে ক্যাম্পাসের স্কুল, কলেজ ও চিকিৎসাকেন্দ্রের সেবার অপ্রতুলতার কথা ক্যাম্পাসের অন্যতম সীমাবদ্ধতা হিসেবে বিবেচনা করেন। অনেক শিক্ষক, এমনকি কর্মকর্তারাও আজকাল ক্যাম্পাসে থাকা পছন্দ করেন না ভালোমানের স্কুল, কলেজ ও চিকিৎসাসেবা নেই বলে। অথচ এক দশক পূর্বেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল ও কলেজের মান অনেক ভালো ছিল, অনেক শিক্ষার্থী এসএসসি ও এইচএসসিতে স্ট্যান্ড করত, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল-কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। কেবল শিক্ষা বা চিকিৎসা নয়, ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিবেশ, নিরাপত্তা, অস্ত্র, মাদক, রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত ইত্যাদি ক্যাম্পাসকে অনিরাপদ ও অপরিচিত জনপদে পরিণত করেছে। তাই আগের মতো কেউ আর ক্যাম্পাসে থাকা পছন্দ করেন না। সুযোগ পেলেই ক্যাম্পাস ছেড়ে শহরে আবাসন গড়ে তোলেন, বিশেষ করে যাদের ঘরে স্কুলপড়ুয়া সন্তান আছে।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাস ধীরে ধীরে মরূদ্যানে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে, দুপুরের পর। আগে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা-সহায়ক নানান কর্মকাণ্ডে মুখরিত থাকত, এখন সরকারি ছাত্র সংগঠনের রাজনৈতিক প্রকোপে প্রায় সবই এখন বন্ধ। তাদের মধ্যেও এমনকি রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই বললেই চলে। তারা ব্যস্ত মূলত হল ও ট্রেনের বগি দখল এবং ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে। ক্যাম্পাসের সর্বোচ্চ সুবিধা লাভের জন্য দুপুরের পর ক্যাম্পাস যেভাবে শূন্য হয়ে যায় তা বন্ধ করতে হবে; প্রয়োজনে ডাবল শিফট চালু করতে হবে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়েই লাভবান হবেন। তবে তার আগে উপরিউক্ত সীমাবদ্ধতাগুলোর নিরসন প্রয়োজন যা যথাযথভাবে উদ্যোগ নিলে সমাধান করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবর্গের ইতিবাচক সম্পৃক্ততা আবশ্যক। যদি ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিবেশ নিরাপদ, শিক্ষাবান্ধব হতো, যদি সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ক্যাম্পাস মুখরিত হতো, এই সবুজ ক্যাম্পাসের অবকাঠামো ও নান্দনিক পরিবেশের যথাযথ প্রয়োগ ও সুবিধা দেশ ও জাতিকে অনেক কিছু দিতে পারত। সুযোগ কিছুটা নষ্ট হয়েছে, তবে একেবারেই হাতছাড়া হয়ে যায়নি। এখনো সময় আছে হৃত পরিবেশ ফিরিয়ে আনার। প্রয়োজন বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, যথাযথ উদ্যোগ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। এসব কাঠামোগত সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে অপরাপর গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় যেমন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ে তোলা অপরিহার্য। গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে নিয়মিত নির্বাচন সম্পন্ন করে বিভিন্ন পর্ষদকে (সিনেট, চাকসু, সিন্ডিকেট) কার্যকর করতে হবে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাজীবনকে নির্বিঘœ ও আনন্দময় করা, শিক্ষক নিয়োগ মেধাভিত্তিক করা, এবং তাদের পদোন্নতি নিয়ম অনুযায়ী পরিচালনা করা তথা বৈষম্যমুক্ত রাখা আবশ্যক। শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও আনন্দময় ক্যাম্পাস এবং শিক্ষকদের জন্য কর্মস্থলের সন্তুষ্টি (জব স্যাটিসফ্যাকশন) নিশ্চিত করা এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে রাজনৈতিক, আঞ্চলিক বা আর্থিক সংশ্লিষ্টতা এক্ষেত্রে সব সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করতে যথেষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয় যদি ১৯৭৩-এর আইন অনুযায়ী পরিচালনা করা যায়, অধিকাংশ সমস্যা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সমাধান হয়। এক্ষেত্রে সম্মিলিতভাবে সবার সহযোগিতা বিশেষভাবে প্রয়োজন। এ জন্য বর্তমান প্রশাসনকে ইতিবাচক ভূমিকা পালনে অগ্রণী ভূমিকা পালনে সচেষ্ট হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

লেখক: অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

alactg@gmail.com

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION