রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

বিসিএস পরীক্ষা ও আবেদ আলী প্রসঙ্গে তাহসান

বিনোদন ডেস্ক:
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় গ্রেফতার আলোচিত গাড়ি চালক সৈয়দ আবেদ আলীর সঙ্গে পিএসসি’র সাবেক চেয়ারম্যান জিনাতুন নেসা এবং তার ছেলে সংগীতশিল্পী তাহসান খানকেও তোলা হয়েছিলো একই পাল্লায়। চলছিলো ফেসবুক ট্রায়াল। বলা হচ্ছিলো, প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত তাহসানের মা, কারণ আবেদ আলী ছিলেন তার গাড়ি চালক। শিল্পী নিজেও নাকি বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন তার মায়ের সুবাদে! পরে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে ওই পরীক্ষা বাতিল হলে নতুন করে নেওয়া মৌখিক পরীক্ষায় তিনি অকৃতকার্য হন!

গত ক’দিন ধরে চলা এমন গুজবের বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছিলো না তাহসান কিংবা তার মায়ের কোনও বক্তব্য বা প্রতিক্রিয়া। ফলে গুঞ্জনগুলোই যেন বিশ্বাস করতে শুরু করলো দেশের মানুষ। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডাল-পালা ছড়াতে লাগলো।

অবশেষে এসব গুঞ্জন বা অভিযোগের বিপরীতে মুখ খুললেন তাহসান। জানালেন, প্রথম হওয়া তো দূরের কথা তিনি কখনও বিসিএস পরীক্ষাতেই অংশ নেননি! আরও জানান, গাড়ি চালক সৈয়দ আবেদ আলী কখনও তার মা কিংবা তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি চালক ছিলেন না।

তাহসান এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ব্যক্তিগত কাজে। সেখান থেকে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি কিন্তু কোনও দিন বিসিএস পরীক্ষা দিইনি। আর যেই গাড়িচালকের (সৈয়দ আবেদ আলী) কথা বলা হচ্ছে, তিনি কোনও দিন আমার আম্মার গাড়িচালক ছিলেন না।’

তাহসান মনে করেন, ‘মানুষ বুঝতে পারে এসব ভুয়া খবর। এরই মধ্যে মানুষজন প্রতিবাদও করছেন।’

বলা দরকার, তাহসানের মা অধ্যাপক জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ২০০২ সালের মে মাস থেকে ২০০৭ সালের একই মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ছিলেন। আর সৈয়দ আবেদ আলী ১৯৯৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পিএসসির গাড়িচালক ছিলেন।

আরও বলা দরকার, সৈয়দ আবেদ আলী প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার ঘটনায় ২০১৪ সালে পিএসসি থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন। পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, আবেদ আলী যত দিন পিএসসির চাকরিতে ছিলেন, তত দিন তিনি সংস্থাটির কোনও চেয়ারম্যানের গাড়িচালক ছিলেন না। তিনি একজন যুগ্ম সচিবের গাড়িচালক ছিলেন।

৫ জুলাই অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে পিএসসির দুজন উপপরিচালক ও একজন সহকারী পরিচালকসহ পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। আদালতে আবেদ আলী স্বীকার করেছেন ২০০৫ সাল থেকে পিএসসির অধীনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে সম্পৃক্ততার কথা। যার মাধ্যমে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।

সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই তাহসানের বিরুদ্ধে প্রচারিত এই গুজবের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফেসবুকে। তথ্য প্রমাণ দিয়ে তাহসানের সহপাঠীরাও দাবি করেছেন, তাহসান বিসিএস পরীক্ষা দেননি।

তবে অনেক শিল্পী ও সাধারণ মানুষ মনে করছেন, আবেদ আলীদের থেকে সবার নজর অন্য দিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এসব ‘ভুয়া’ খবর সামনে আনা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে প্রিন্স মাহমুদ স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘তাহসানের বাবা–মা দুজনেই অত্যন্ত সৎ মানুষ। ছোটবেলা থেকে দেখেছি। সাধারণ সরকারি কর্মকর্তাদের বাচ্চাদের মতো বড় হয়েছে তাহসান। কোনোরকম বিলাসিতা দেখিনি। যা তাহসানের অর্জন, তার সমস্তটা গানের জন্যই। প্রকৃত অসৎদের ধামাচাপা দেয়ার জন্য এগুলো ছড়ানো হচ্ছে। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION